চতুর্থ শ্রেণীর আমাদের পরিবেশ প্রশ্ন উত্তর part 3

চতুর্থ শ্রেণীর আমাদের পরিবেশ তৃতীয় অধ্যায় শরীর থেকে প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করা হলো। Class 4 Poribesh chapter 3 question answer | চতুর্থ শ্রেণীর আমাদের পরিবেশ প্রশ্ন উত্তর part 3

*** আমাদের পরিবেশ তৃতীয় অধ্যায় শরীর ***

*** প্রশ্ন   উত্তর ***

১) এমন কিছু খাবারের নাম লেখ যা সরাসরি খাওয়া যায় ।

উত্তর - মধু,আপেল, নারকেল,কলা, আম, দুধ, পেঁপে ইত্যাদি আমার সরাসরি খেতে পারি।



২) কোন কোন খাবার অন্য খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে বানানো হয় ?

উত্তর - আলু, ফুলকপি, গাজর, লাউ, পটল, মাছ ইত্যাদি অন্য খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে বানানো হয়। 



৩) কয়েকটি প্যাকেট করা খাবারের নাম লেখ ?

উত্তর - কয়েকটি প্যাকেট করা খাবার হল বিস্কুট,চকলেট, জুইস, কেক ইত্যাদি। 



৪) প্যাকেট করা খাবার প্রায় ফেলে কি কি অসুবিধা হতে পারে ?

উত্তর - প্যাকেট করা খাবার প্রায় খেলে পেটের গোলমাল, মোটা হয়ে যাওয়া, খিদে কমে যাওয়া ইত্যাদি অসুবিধা গুলি হতে পারে।



৫) দাঁত ভালো রাখতে কতবার দাঁত মাজতে হবে ?

উত্তর - দাঁত ভালো রাখতে দিনে দু-বার দাঁত মাজতে  হবে।



৬) শরীরের সবথেকে কঠিন অংশ কোনটি ?

উত্তর - মাড়ির বাইরে থাকা দাঁত শরীরের সবচেয়ে কঠিন অংশ।



৭) আমাদের দাঁত মাজা দরকার কেন ?

উত্তর - দাঁত না মাজলে আমাদের দাঁত খারাপ হয়ে যাবে। তাই দাঁত মাজা দরকার। 



৮) দাঁত কখন এবং কিভাবে মাজা দরকার ?

উত্তর - সকালে ও রাতে খাবার পরে দিনে দুবার দাঁত মাজা দরকার। 
ব্রাশ দিয়ে উপরের নিচে ভালো করে দাঁত মাজতে হবে। যাতে দাঁতের ফাঁকে খাবারের অংশ আটকে না থাকে। 



৯) দাঁতের ফাঁকে খাবার আটকে থাকলে কি কি সমস্যা হতে পারে ?

উত্তর - দাঁতের ফাঁকি খাবার আটকে থাকলে ওই খাবারে টুকরোয় বাসা বাঁধে খালি চোখে দেখা যায় না এমন সব জীব। এইসব জীবেরাই দাঁত কে খারাপ করে দেয়। এর ফলে, দাঁতে ব্যথা হয়, মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে, মাড়ি ফুলে যায়।


১০) দাঁত কত রকমের কাজ করে ও কি কি ?
উত্তর - দাঁত চার রকমের কাজ করে। কাটা, ছেঁড়া, ভাঙ্গা আর গুঁড়ো করা।



১১) আমাদের মুখে কত ধরনের দাঁত থাকে ?

উত্তর - আমাদের মুখে চার ধরনের দাঁত থাকে। 



১২) জন্মের কতদিন পর থেকে দাঁত উঠতে শুরু করে ?

উত্তর - জন্মের ছয় মাস পর থেকে দাঁত উঠতে শুরু করে। 



১৩) দুধের দাঁত কাকে বলে ?

উত্তর - জন্মের ছয় মাস পরে যে দাঁতগুলো ওঠে সেগুলো সারা জীবন থাকে না। এগুলোকে বলে দুধের দাঁত ।



১৪) তিন বছর বয়সে শিশুর কয়টি দুধের দাঁত থাকে ?

উত্তর - তিন বছর বয়সে শিশুর কুড়িটি যুদ্ধের দাঁত থাকে। 



১৫) হজমের প্রথম ধাপ কোনটি ?

উত্তর - খাবারকে ভেঙে টুকরো করাই হলো হজমের প্রথম ধাপ।



১৬) আমাদের মুখের আশেপাশে কোন গ্রন্থি থাকে ?

উত্তর - আমাদের মুখের আশেপাশে লালা গ্রন্থি থাকে। 



১৭) লালা গ্রন্থি থেকে কি বেরোয় ?

উত্তর - লালা গ্রন্থি থেকে লালা রস বেরোয়।



১৮) লালা রসের কাজ কি ?

উত্তর - লালা রসে থাকে হজমের রস। যা খাবার কে হজম করতে সাহায্য করে। এছাড়াও লালা রস খাবার কে দলা পাকিয়ে দেয় যাতে সহজেই গলা দিয়ে নেমে যায়।



১৯) হজম মানে কি ?

উত্তর - হজম মানে হল খাবার কে খুব ছোট ছোট কনায় ভেঙে ফেলা। যাতে খাবারের ওই কড়াগুলো শরীর খুব সহজেই নিয়ে নিতে পারে। 



২০) আমাদের বিষম কেন লাগে ?

উত্তর - আমাদের গলার ভেতরে পাশাপাশি দুটো নল থাকে। একটা দিয়ে খাবার যায় আর একটা দিয়ে বাতাস যায়। খাওয়ার সময় কখনো কখনো খাবারের টুকরো ওই বাতাস যাওয়ার নলে ঢুকে পড়ে। তখন শরীর চায় বাতাস যাওয়ার নলটা থেকে ওই খাবারের টুকরোটাকে বার করে দিতে। তখনই আমাদের বিষম লাগে। 



২১) আমাদের শরীরে খাবার প্রথমে কোথায় পৌঁছায় ?
উত্তর - আমাদের শরীরে খাবার প্রথমে পাকস্থলীতে পৌঁছায়। 



২২) খাবারে যে অংশটা হজম হয় না তা কোথায় জমা থাকে ?

উত্তর - খাবারের যে অংশটা হজম হয় না তা মলাশয়ে জমা থাকে। 



২৩) কোন কোন খাবার খেলে চোখ ভালো থাকে ?

উত্তর - শাকসবজি, গাজর, পাকা পেঁপে এসব খেলে চোখ ভালো থাকে। 



২৪) কোন কোন খাবার খেলে দাঁত আর মাড়ি সুস্থ থাকে?

উত্তর - টক জাতীয় ফল যেমন লেবু, কমলা লেবু প্রভৃতি খেলে দাঁত আর মাড়ি সুস্থ থাকে।



২৫) কোন কোন খাবার খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে ?

উত্তর - দুধ, মাছ, ডিম, ডাল ও সয়াবিন প্রভৃতি খাবার খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে



২৬) কাজ করতে কিসের প্রয়োজন হয় ?

উত্তর - কাজ করতে শক্তির প্রয়োজন হয়। 



২৭) শক্তির চাহিদা মেটাই কিভাবে ?

উত্তর - খাবার খেয়ে আমরা শক্তির চাহিদা মেটাই। 



২৮) সুষম আহার কাকে বলে ?

উত্তর - বিভিন্ন ধরনের খাবার সঠিকভাবে মিশিয়ে খাওয়ার জন্য একটা পরিকল্পনা করা হয়। যাতে শরীরের শক্তির চাহিদা মেটে, শরীর সঠিকভাবে বেড়ে ওঠে ও রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিদিন সব ধরনের খাবার পরিমাণ মতো খাওয়াকেই সুষমা আর বলে।



২৯) সব মানুষের সুষম আহার কি একই রকমের  ?

উত্তর - সব মানুষের ক্ষেত্রে সুষম আহার একই রকমের হয় না। কাজের ধরন অনুযায়ী সুষম আহার পাল্টে যায়। সুষম আহার কেমন হবে তা নির্ভর করে বয়স, ওজন, উচ্চতা, শারীরিক অবস্থা এবং জলবায়ুর উপর।



৩০) সুষমা আহারের মধ্যে কি কি ধরনের খাবার থাকে ?

উত্তর - সুষম আহারের মধ্যে চার ধরনের খাবার থাকে।  ক) দানা শস্যজাতীয় খাবার। (ভাত রুটি), খ)শাকসবজি ও ফল দ্বিতীয় খাবার। (কুমড়া শাক, পেয়ারা, আপেল), গ) তেল ঘি বাদাম জাতীয় খাবার (ঘি বাদাম),  ঘ) মাছ, মাংস, ডিম জাতীয় খাবার। (মাছ, মাংস, ডিম)।



৩১) সব প্রাণীর খাবারের উৎস কি ?

উত্তর - সব প্রাণীর খাবারের উৎস উদ্ভিদ। 



৩২) গাছের খাবার তৈরি করতে কি কি লাগে ?

উত্তর - গাছের খাবার তৈরি করতে মাটি থেকে জল আর কিছু দরকারি উপাদান। বাতাস থেকে কার্বন-ডাই অক্সাইড গ্যাস। আর লাগে সূর্যের আলো।



৩৩) গাছ কোথায় খাবার তৈরি করে ?

উত্তর - গাছ তার শরীরের সবুজ অংশগুলোতে খাবার তৈরি করে। 



৩৪) গাছ খাবার তৈরীর সময় কোন গ্যাস বাতাসে মিশিয়ে দেয় ?

উত্তর - অক্সিজেন গ্যাস বাতাসে মিশিয়ে দেয়। 



৩৫) উদ্ভিদের খাবারে কোন শক্তি জমা থাকে ?

উত্তর - উদ্ভিদের খাবারে সূর্যের শক্তি জমা থাকে।



৩৬) দৌড়ানোর সময় বা সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় কি খরচ হয় ?

উত্তর - দৌড়ানোর সময় বা সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় শক্তি খরচ হয়। 



৩৭) শক্তি কোথা থেকে পাই ?

উত্তর - শক্তি খাবার থেকে পাই।



৩৮) প্রশ্বাস কাকে বলে ?

উত্তর - ভাতার থেকে আমাদের শ্বাস নেওয়াকে প্রশ্বাস বলে।



৩৯) শ্বাসনালীর শেষে কি থাকে ?

উত্তর - শ্বাসনালির শেষে দুটো ফুসফুস থাকে। 



৪০) শ্বাস নেওয়ার সময় বাতাস কোথায় গিয়ে পৌঁছায় ?

উত্তর - শ্বাস নেওয়ার সময় বাতাস ফুসফুসে পৌঁছায়।



৪১) আমরা শ্বাস নেওয়ার সময় কোন গ্যাস গ্রহণ করি ?

উত্তর - আমরা শ্বাস নেওয়ার সময় অক্সিজেন গ্যাস গ্রহণ করি। 



৪২) দৌড়ানো বা সিড়ি দিয়ে ওঠার সময় আমরা হাপিয়ে যায় কেন ?

উত্তর - দৌড়ানো বা সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় আমাদের বেশি শক্তির দরকার হয়। তার জন্য লাগে বেশি অক্সিজেন। বেশি অক্সিজেন শরীরের ঢোকানোর জন্য জোরে জোরে শ্বাস নিতে হয়। তাই আমরা হাপিয়ে যাই। 



৪৩) নিশ্বাস কাকে বলে ?

উত্তর - আমরা যেমন শ্বাস নিই তেমনি শ্বাসও ছাড়ি। হাঁস ছাড়াকে বলে নিশ্বাস।



৪৪) নিশ্বাস ছাড়ার সময় কোন গ্যাস শরীর থেকে বেরিয়ে যায় ?

উত্তর - নিশ্বাস ছাড়ার সময় শরীর থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস বেরিয়ে যায়।



৪৫) শ্বাস ক্রিয়া কাকে বলে ?

উত্তর - প্রশ্বাস আর নিশ্বাসকে একসঙ্গে বলে শ্বাসক্রিয়া।



৪৬) শ্বাসক্রিয়ার সময় গাছ কোন গ্যাস নেয় ও ছাড়ে ?

উত্তর - শ্বাসক্রিয়ার সময় গাছেরা অক্সিজেন নেয় আর কার্বন ডাই অক্সাইড পরিবেশে ফিরিয়ে দেয়। 



৪৭) কোন মাছ জল থেকে তোলার পরেও অনেকক্ষণ বেঁচে থাকে ?

উত্তর - শোল, ল্যাটা, কই, শিঙি, মাগুর মাছ জল থেকে তোলার পরেও অনেকক্ষণ বেঁচে থাকে।



৪৮) ফুসফুসের ক্ষতি হয় কিভাবে ?

উত্তর - যে কোনো ধরনের ধোঁয়া বা ধুলো শরীরের ভিতরে ঢুকে ফুসফুসের ক্ষতি করে।



৪৯) কি করলে ফুসফুস ভালো থাকবে ?

উত্তর - নিয়মিত শ্বাসের ব্যায়াম করা দরকার। মুক্ত বাতাসে ছোটাছুটি বা খেলা ধুলো করেলেও ফুসফুস ভালো থাকে। এছাড়াও ফুসফুস ভালো রাখতে যে কোনো ধরনের ধোঁয়া - ধুলো যেমন কলকারখানা বা গাড়ির ধোয়া থেকে দূরে থাকা দরকার।



৫০) প্রতিদিনের কাজ করার শক্তি পেতে ও স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কি দরকার ?

উত্তর - প্রতিদিনের কাজ করা শক্তি পেতে ও স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পরিমাণ মতো অক্সিজেন শরীরে ঢোকা দরকার।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Edu হোস্টারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url