Class VII History Chapter 4 Question Answer WBBSE
সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় (দিল্লি সুলতানি : তুর্কো - আফগান শাসন) প্রশ্ন ও উত্তর আলোচনা করা হলো।
**** সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ****
ভেবে দেখো খুঁজে দেখো
১) নিচের নামগুলির মধ্যে কোনটি বাকি গুলির সঙ্গে মিলছে না তার তলায় দাগ দাও :
(ক) ইলতুৎমিশ, রাজিয়া, ইবন বতুতা, বলবন।
উত্তর - ইবন বতুতা নামটি বাকিগুলির সঙ্গে মিলছে না।
(খ) তাবরহিন্দ, সুনাম, সামানা ঝিলাম।
উত্তর - ঝিলাম নামটি বাকি গুলির সঙ্গে মিলছে না।
(গ) খরাজ, খামস, জিজিয়া, আমির, জাকাত।
উত্তর - আমির নামটি বাকিগুলির সঙ্গে মিলছে না।
(ঘ) আহমেদনগর, বিজাপুর, গোলকোন্ডা, পাঞ্জাব, বিদর।
উত্তর - পাঞ্জাব নামটি বাকিগুলির সঙ্গে মিলছে না।
(ঙ) বারবোসা, মাহমুদ গাওয়ান, পেজ, নুনিজ।
উত্তর - মাহমুদ গাওয়ান নামটি বাকিগুলির সঙ্গে মিলছে না।
২) " ক " স্তম্ভের সঙ্গে " খ " স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো :
"ক"স্তম্ভ | "খ" স্তম্ভ |
---|---|
খলিফা | বাংলা |
বলবন | দুরবাশ |
খলজি বিপ্লব | বাবর |
রুমি কৌশল | তুর্কান - ই - চিহলগানি |
রাজা গণেশ | ইলবারি তুর্কি অভিজাতদের ক্ষমতার অবসান |
উত্তর -
"ক" স্তম্ভ | "খ" স্তম্ভ |
---|---|
খলিফা | দুরবাশ |
বলবন | তুর্কান - ই - চিহলগানি |
খলজি বিপ্লব | ইলবারি তুর্কি অভিজাতদের ক্ষমতার অবসান |
রুমি কৌশল | বাবর |
রাজা গণেশ | বাংলা |
৩) সংক্ষেপে (৩০-৫০ টি শব্দের মধ্যে) উত্তর দাও :
(ক) দিল্লির সুলতানদের কখন খলিফাদের অনুমোদন দরকার হতো ?
উত্তর - হযরত মুহাম্মদের মৃত্যুর পর থেকে ইসলামী জগতের প্রধান শাসক ছিলেন খলিফা। দিল্লির সুলতানির উপরে খলিফারই অধিকার ছিল। একজন খলিফার পক্ষে সমস্ত অঞ্চলে শাসন করা সম্ভব ছিল না। তাই খলিফার থেকে অনুমোদন নিয়ে নানান অঞ্চলে নানান ব্যক্তি শাসন করতেন। যদি কোন সম্রাট সিংহাসনে আরোহন করে শাসনকার্য পরিচালনা করতে চাইতেন। তবে তাকে খলিফার অনুমোদন পেতে হতো। খলিফা যদি সেই আবেদন অনুমোদন করতেন। তবেই শাসক সিংহাসনের বৈধ অধিকারী রূপে পরিগণিত হতেন। কে সুলতান হবেন এই নিয়ে গোলমাল পাকিয়ে উঠলে , তখনই দিল্লির সুলতানরা খলিফার আনুগত্য স্বীকার করে তার অনুমোদন চাইতেন।
(খ) সুলতান ইলতুৎমিশের সামনে প্রধান তিনটি সমস্যা কি ছিল ?
উত্তর - সুলতান ইলতুৎমিশের সময়ে দিল্লি সুলতানির সামনে প্রধান তিনটি সমস্যা ছিল।
১) কীভাবে সম্রাজ্যের মধ্যে বিদ্রোহী শক্তিকে দমন করা যাবে।
২) কীভাবে মধ্য এশিয়ার দুর্ধর্ষ মঙ্গল জাতিকে মোকাবিলা করা যাবে।
৩) কীভাবে দিল্লি সুলতানিতে একটা রাজবংশ তৈরী করা যাবে। যাতে তার উত্তরাধিকারী কোনরকম গোলমাল ছাড়াই সিংহাসনে বসতে পারবে।
(গ) কারা ছিল সুলতান রিজিয়ার সমর্থক ? কারা ছিল তাঁর বিরোধী ?
উত্তর - ইলতুৎমিশের সন্তানদের মধ্যে রাজিয়া ছিলেন যোগ্যতম। রাজিয়া সিংহাসনে বসেছিলেন সেনাবাহিনী, অভিজাতদের একাংশ ও দিল্লির সাধারণ লোকেদের সমর্থন নিয়ে। অন্যদিকে, একজন নারীর সিংহাসনে বসা নিয়ে অভিজাতদের এক অংশ আপত্তি করেছিল। তুর্কি অভিজাত, উলেমা রাজিয়ার বিরোধিতা করে। এছাড়া রাজপুত শক্তিও তার শাসনের বিরোধী ছিল।
(ঘ) আলাউদ্দিন খলজি কিভাবে মোঙ্গল আক্রমণের মোকাবিলা করেন ?
উত্তর - আলাউদ্দিন খলজির সময় মোঙ্গলরা দুবার দিল্লি আক্রমণ করে। সুলতান বিরাট বাহিনী গড়ে তোলেন। সৈনিকদের থাকার জন্য সিরি নামে নতুন শহর তৈরি করেন। সেনাবাহিনীকে রসদ যোগানোর জন্য দোয়াব অঞ্চলের কৃষকদের উপর বেশি হারে কর চাপানো হয়। দুর্গনির্মাণ, সৈন্যসংগ্রহ ও মূল্যনিয়ন্ত্রণ করে সফলভাবে মোঙ্গল আক্রমণের মোকাবিলা করেন আলাউদ্দিন খলজি।
(ঙ) ইলিয়াসশাহি এবং হোসেনশাহি আমলে বাংলার সংস্কৃতির পরিচয় দাও ।
উত্তর - ইলিয়াসশাহি এবং হোসেনশাহি আমলে বাংলার বাংলার সংস্কৃতির উন্নয়ন হয়েছিল। এই সময়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, স্থাপত্য প্রভৃতি ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়। এই সময়ের সুলতানরা ছিলেন অন্য ধর্মমত বিষয়েও উদার। সুলতানদের ধর্মীয় উদারতা বাংলায় সব ধর্মের মানুষকে কাছাকাছি আসতে সাহায্য করেছিল।
৪) বিশদে (১০০- ১২০ টি শব্দের মধ্যে) উত্তর দাও :
(ক) ৪.২ মানচিত্র থেকে আলাউদ্দিন খলজির দাক্ষিণাত্য অভিযানের বিবরণ দাও ।
উত্তর - প্রথমদিকের তুর্কি সুলতানদের শাসনকালে উত্তর ভারতের গাঙ্গেয় অববাহিকায় সুলতানি শাসনের ভিত পাকা হয়েছিল। এরপর সুলতানরা দাক্ষিণাত্যে ক্ষমতা বিস্তারে মনোনিবেশ করেন। আলাউদ্দিন খলজি দিল্লির প্রথম সুলতান যিনি দক্ষিণ ভারতে সুলতানি সম্রাজ্যের বিস্তার ঘটান। এই অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তার সেনাপতি মালিক কাফুর। ৪.২ মানচিত্র থেকে আলাউদ্দিনের দাক্ষিণাত্যের অভিযানের যে চিত্র পাই তাতে এই সময়ে দক্ষিণ ভারতে চারটি সমৃদ্ধ রাজ্য ছিল, যথা - দেবগিরি, ওয়ারঙ্গল, হোয়সল ও পান্ড্য। মালিক কাফুরের নেতৃত্বে বিশাল সেনাবাহিনী একে একে দেবগিরি, ওয়ারঙ্গল,হোয়সল ও পান্ড্য শাসকদের পরাজিত করে দ্বারসমুদ্র, তাঞ্জোর, মাদুরাই, কাকতীয় প্রভৃতি এলাকার উপর ক্ষমতা দখল করে।
(খ) দিল্লির সুলতানদের সঙ্গে তাদের অভিজাতদের কেমন সম্বন্ধ ছিল তা লেখ।
উত্তর - সুলতানি প্রশাসনে অভিজাতকদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। সুলতানের উপরে কেউ কথা বলতে পারতো না। তার বিরোধিতা করলে শাস্তি পেতে হতো। ফলে, অভিজাতরা আর সুলতানের ক্ষমতা ও মর্যাদা নিয়ে প্রশ্ন করত না। আলাউদ্দিনের সময়ে অভিজাতকের করা হাতে দমন করা হত। উলেমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলতে হতো সুলতানকে। উলেমারাই সুলতানকে পরামর্শ দিতেন। তবে বেশিরভাগ সময়ই উলেমার কথার শুনে চলতেন না সুলতানরা। শাসন চালানোর জন্য যা দরকার সুলতানরা তাই করতেন। এই নিয়ে উলেমার সঙ্গে সুলতানদের গোলমালও হত। মাঝেমধ্যে সুলতানরা পুলেমাকে শাস্তিও দিতেন। তবে নিজেদের ক্ষমতা অটুট রাখতে ওমরাহ ও উলেমার সমর্থনের দরকার হতো সুলতানদের। তাই নানা উপহার ও সম্মান দিয়ে তাদের পাশে রাখতেন সুলতানরা।
(গ) ইকতা কী ? কেন সুলতানরা ইকতা ব্যবস্থা চালু করেছিলেন ?
উত্তর - সুলতানরা যেসব রাজ্য জয় করেন সেই রাজ্যগুলিকে এক একটি প্রদেশে ভাগ করতেন। এই প্রদেশ গুলিকে বলা হতো ইকতা। ইকতার দায়িত্বে থাকতেন একজন সামরিক নেতা। তাকে বলা হতো ইকতাদার বা মুকতি বা ওয়ালি।
নতুন অধিকার করা অঞ্চল থেকে রাজস্ব আদায় ও শান্তি বজায় রাখা দরকার ছিল। এছাড়াও প্রশাসনিক দায়িত্ব, সৈন্য বাহিনীর দেখাশোনা, বাড়তি রাজস্ব আদায় প্রভৃতি কারণে সুলতানরা ইকতা ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। ইকতাদাতারা সম্পূর্ণভাবে সুলতানের নিয়ন্ত্রণে ছিলেন। তবে একটি সুসংহত কেন্দ্রীয় প্রশাসন গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ইকতা ব্যবস্থা চালু করেছিলেন।
(ঘ) আলাউদ্দিন খলজির সময় দিল্লির বাজারদর নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে তোমার মতামত লেখো।
উত্তর - আলাউদ্দিন খলজির শাসন ব্যবস্থা পুরোপুরি সামরিক শক্তির উপর নির্ভরশীল ছিল। এর মধ্যে তিনি এক বিরাট সৈন্যদল গঠন করেন, এবং ওই শূন্যদের বেতন নির্দিষ্ট করে দেন। আলাউদ্দিন বাজারের সমস্ত নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম ঠিক করে দেন। তার আমলে দিল্লিতে চারটি বড়ো বাজার ছিল। এইসব বাজারে খাদ্যদ্রব্য, ঘোড়া, কাপড় ইত্যাদি বিক্রি হতো। বাজারদর দেখাশোনার জন্য " শাহানা - ই মান্ডি " ও "দেওয়ান - ই রিয়াসৎ" নামে রাজ কর্মচারী নিয়োগ করা হতো। সুলতানের ঠিক করে দেওয়া দামের থেকে বেশি দাম নিলে বা ক্রেতাকে ওজনের ঠকালে কঠোর শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। আলাউদ্দিন রেশন ব্যবস্থার প্রবর্তন করেন। প্রয়োজনের সময়ে প্রজাদের সুলতানের পক্ষ থেকে খাদ্যশস্য ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পরিমাণ মতো দেওয়া হতো।
(ঙ) বিজয়নগর ও দাক্ষিণাত্যের সুলতানি রাজ্যগুলির মধ্যে সংঘর্ষকে তুমি কী একটি ধর্মীয় লড়াই বলবে ? তোমার যুক্তি দাও ।
উত্তর - বিজয়নগর রাজ্যের উত্তর দিকে মুসলমান শাসিত বাহমনি রাজ্যগুলি ছিল বিজয়নগরের সবথেকে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী। এই দুটি শক্তিশালী রাজ্যের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ চলে। ফলে দুটি রাজ্যে যথেষ্ট পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নানা কারণে এই দুটি রাজ্যের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের কারণ হিসেবে অনেকে বিরোধী দুই ধর্মমতের কথা বলে থাকেন। আপাত দৃষ্টিতে দাক্ষিণাত্যে ক্ষমতা বিস্তার তাদের মধ্যে সংঘর্ষের কারণ বলে মনে হলেও প্রকৃত কারণ ছিল রাজনৈতিক, সামরিক, বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার লড়াই। বিজয়নগর এবং দক্ষিণের সুলতানিগুলির মধ্যে তিনটি অঞ্চল কে নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। এ অঞ্চল গুলি হল তুঙ্গ ভদ্রা নদীর উপকূলবর্তী অঞ্চল, কৃষ্ণা-গোদাবরী নদীর অববাহিকা অঞ্চল এবং মারাঠওয়াড়া দেশ । কৃষ্ণা ও তুঙ্গভদ্রা নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চল দোয়াব বলে পরিচিত। এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্পদের জন্য চোল-চালুক্যদের মধ্যে এবং যাদব ও হোয়সল রাজাদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধেছিল। কৃষ্ণা-গোদাবরী বদ্বীপ অঞ্চল ছিল অতি উর্বর এবং এই অঞ্চলে অনেকগুলি বন্দর থাকায় বহির্বাণিজ্যের দিক থেকে অঞ্চলটি ছিল খুবই সমৃদ্ধশালী। মূলত এইসব কারণেই দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
*** অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর ***
১) মোহাম্মদ ঘুরির চারজন অনুচরের নাম লেখ ?
উত্তর - তাজউদ্দিন ইয়ালদুজ, নাসিরুদ্দিন, বখতিয়ার খলজি ও কুতুবউদ্দিন আইবক।
২) ইসলাম ধর্মের প্রধান শাসক কে ছিলেন ?
উত্তর - ইসলাম ধর্মের প্রধান শাসক ছিলেন খলিফা।
৩) আরবি ভাষায় সুলতানা শব্দের অর্থ কি ?
উত্তর - আরবি ভাষায় সুলতানা শব্দের অর্থ হল সুলতানের স্ত্রী।
৪) রাজিয়া কতদিন শাসন করেছিলেন ?
উত্তর - রাজিয়া সাড়ে তিন বছর শাসন করেছিলেন।
৫) খলজি বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ?
উত্তর - খলজি বংশের প্রতিষ্ঠাতা জালাল উদ্দিন ফিরোজ খলজি।
৬) সৈয়দ বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ?
উত্তর - সৈয়দ বংশের প্রতিষ্ঠাতা খিজির খান।
৭) লোদী বংশের প্রতিষ্ঠাতার নাম কি ?
উত্তর - লোদী বংশের প্রতিষ্ঠাতার নাম বহলোল লোদি।
৮) জাকাত কি ?
উত্তর - মুসলমানদের সম্পত্তির উপর আরোপ করা কর।
৯) খামস্ কি ?
উত্তর - যুদ্ধের সময় লুট করা ধন-সম্পদের থেকে আরোপিত কর হলো খামস।
১০) জিজিয়া কি ?
উত্তর - মুসলমানদের কাছ থেকে মুসলিম রাষ্ট্রে সুরক্ষা দানের পরিবর্তে যে কর নেওয়া হতো তাই হল জিজিয়া।
১১) চৈতন্য ভাগবত কে রচনা করেন ?
উত্তর - বৃন্দাবন দাস চৈতন্য ভাগবত রচনা করেন।
১২) সঙ্গম বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ?
উত্তর - প্রথম হরিহর ও বুক্ক।
১৩) ইবন বতুতা কোন দেশের অধিবাসী ছিলেন ?
উত্তর - ইবন বতুতা মরক্কোর অধিবাসী ছিলেন।
১৪) পানিপথের প্রথম যুদ্ধে কোন কৌশল ব্যবহার করে ?
উত্তর - রুমি কৌশল ব্যবহার করে।
১৫) আরবি ভাষায় সুলতান শব্দের অর্থ কি ?
উত্তর - আরবি ভাষায় সুলতান শব্দের অর্থ হল কর্তৃত্ব।
১৬) পাগলা রাজা কাকে বলা হয় ?
উত্তর - মোহাম্মদ বিন তুঘলককে পাগলা রাজা বলা হয়।
১৭) দিল্লিতে রেশন ব্যবস্থার প্রবর্তন করেন কে ?
উত্তর - দিল্লিতে রেশন ব্যবস্থার প্রবর্তন করেন আলাউদ্দিন খলজী।
১৮) আলাউদ্দিন খলজির সেনাপতির নাম কি ?
উত্তর - আলাউদ্দিন খলজির সেনাপতির নাম মালিক কাফুর।
১৯) পানিপথের প্রথম যুদ্ধ কত সালে কাদের মধ্যে হয় ?
উত্তর - পানিপথের প্রথম যুদ্ধ ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে ইব্রাহিম লোদীর সঙ্গে বাবরের হয়।
২০) বাংলার প্রথম স্বাধীন সুলতান কে ছিলেন ?
উত্তর - শামসউদ্দিন ইলিয়াস শাহ।
২১) আমুক্তমাল্যদ গ্রন্থ কে রচনা করেন ?
উত্তর - কৃষ্ণদেব রচনা করেন।
২২) বাহমনী রাজ্যে দেশীয় অভিজাতদের কি বলা হত ?
উত্তর - দক্ষিণী বলা হত।
২৩) কৃষ্ণা এবং তুঙ্গ ভদ্রা নদীর অববাহিকা অঞ্চলকে কি বলা হত ?
উত্তর - রাইচুর দোয়াব বলা হত।
২৪) তুরস্কদন্ড কি ?
উত্তর - জিজিয়া করের মত এক ধরনের কর তুরস্কদন্ড কোন কোন হিন্দু রাজা এই কর চালু করেছিলেন। এই কর্তারা তাদের মুসলমান পূজা দের উপর চাপাতেন।
২৫) ইলম কথার অর্থ কি ?
উত্তর - ইলম কথার অর্থ জ্ঞান।
২৬) উলাক ও দাওআ কাকে বলে ?
উত্তর - ভারতে ডাকে চিঠিপত্র পাঠাবার দু'রকম ব্যবস্থা আছে। ঘোড়ার ডাকের ব্যবস্থাকে উলাক বলে। পায়ে হাটা যে ডাকের ব্যবস্থা আছে তাকে বলা হয় দাওআ।
২৭) খুতবা কথার অর্থ কি ?
উত্তর - খুতবা কথার অর্থ ভাষণ।
২৮) চল্লিশচক্র বা বন্দেগান- ই চিহলগানি কি ?
উত্তর - বন্দেগান- ই চিহলগানি কথার অর্থ হল চল্লিশ জন বান্দা। বান্দা মানে সেবক বা অনুগামী। এই দুটি কথা দিয়েই কিন্তু মিসির অনুগত যোদ্ধাদের বোঝানো হতো। নামে তুর্কি হলেও এদের সবাই জাতিগতভাবে তুর্কি ছিল না। সংখ্যার দিক থেকেও তারা চল্লিশ জনের অনেক বেশি ছিল। এরাই ছিল ত্রয়োদশ শতকের সুলতানি শাসন ব্যবস্থার প্রধান স্তম্ভ। এদের মধ্যে থেকেই গিয়াসউদ্দিন বলবন পরে সুলতান হয়েছিলেন।
২৯) ইকতা কি ?
উত্তর - ইকতা কথাটির আক্ষরিক অর্থ হলো একটি অংশ বা একটি এলাকা। সুলতানি আমলে সমগ্র সম্রাজ্যকে কয়েকটি প্রদেশে ভাগ করা হয়। এই প্রতিটি প্রদেশের সামরিক ও প্রশাসনিক ভাগগুলি ইকতা নামে পরিচিত। ইকতার অধিপতি ইকতাদার বা মুকতি এই অঞ্চলের শাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং কর আদায়ের দায়িত্ব পান। এর পরিবর্তে তিনি সম্রাট কে প্রয়োজন মত সেনা সরবরাহ করতেন।
৩০) ইবন বতুতা কার শাসনকালে ভারতে আসেন ?
উত্তর - মোহাম্মদ বিন তুঘলকের শাসনকালে ভারতে আসেন।
৩১) সিজদা ও পাইবস প্রথা কে চালু করেছিলেন ?
উত্তর - গিয়াসউদ্দিন বলবন।
৩২) চল্লিশচক্রের প্রতিষ্ঠাতা কে ?
উত্তর - ইলতুৎমিশ।
টীকা লেখো : দাগ ও হুলিয়া
উত্তর- সুলতানি সেনাবাহিনী মূলত পদাতিক ও ঘোর সওয়ার নিয়ে তৈরি হতো। যুদ্ধের সময় আত্মীয় ব্যবহার করা হতো। সেরা বিভাগের তদারকি করতো আরিজ ই মামালিক দপ্তর। আলাউদ্দিন খলজী ওই দপ্তরটির বেশকিছু সংস্কার করেছিলেন। সেনাবাহিনীতে জ্বালিয়েতি বন্ধ করতে আলাউদ্দিন দাগ ও হুলিয়া ব্যবস্থা দুটি চালু করেছিলেন। সেনাবাহিনীর সমস্ত ঘোড়া খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হতো। তারপরে ঘোড়াগুলিকে চিহ্নিত করে দাগ দেওয়া হতো। তারপরে ঘরা পর্যবেক্ষণের সময় কোন ঘরাকে দুবার পেশ করা যেত না। তাছাড়া দুর্বল কিংবা খারাপ ঘোড়া হাজির বন্ধ হয়। হুলিয়া কিংবা চেহারা ব্যবস্থা চালু করার ফলে কোন অদক্ষ ব্যক্তি নাম হারিয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে কিংবা অন্যের নামে বেতন নিতে পারত না।
শেষ কথা ঃ-
এই পোস্টে Class VII History Chapter 4 থেকে প্রশ্ন উত্তর আলচনা করা হলো। পরে আরও গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় আসার মতো প্রশ্ন উত্তর আপডেট দেওয়া হবে।
Edu হোস্টারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url