Class VII History Chapter 3 Question Answer Solution WBBSE

সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর আলোচনা করা হলো


সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস তৃতীয় অধ্যাযের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর ও MCQ নিচে আলোচনা করা হলো। 

ভেবে দেখো        খুঁজে দেখো 


১) নিচের নাম মধ্যেলির মধ্যে কোনটি বাকি গুলির সঙ্গে মিলছে না তার তলায় দাগ দাও :

(ক) নাড়ু, চোল, উর, নগরম।

উত্তর - চোল নামটি বাকি গুলির সঙ্গে মিলছে না।



(খ) ওদন্তপুরী, বিক্রমশীল, নালন্দা, জগদ্দল, লখনৌতি। 

উত্তর - লখনৌতি নামটি বাকি গুলির সঙ্গে মিলছে না। 



(গ) জয়দেব, ধীমান, বীটপাল, সন্ধ্যাকরনন্দী, চক্রপানীণিদত্ত।

উত্তর - জয়দেব নামটি বাকিগুলির সঙ্গে মিলছে না।



(ঘ) লুইপাদ, অশ্বঘোষ, সরহপাদ, কাহ্নপাত।

উত্তর - অশ্বঘোষ নামটি বাকি গুলির সাথে মিলছে না। 



২) নিম্নলিখিত বিবৃতিগুলির সঙ্গে তার নীচের কোন ব্যাখ্যাটি তোমার সবচেয়ে মানানসই বলে মনে হয় ?

(ক) বিবৃতি : বাংলার অর্থনীতি পাল-সেন যুগে কৃষি নির্ভর হয়ে পড়েছিল।

ব্যাখ্যা - ১ : পাল - সেন যুগে বাংলার মাটি আগের যুগের থেকে বেশি উর্বর হয়ে গিয়েছিল।

ব্যাখ্যা - ২ : পাল - সেন যুগে ভারতের পশ্চিম দিকের সাগরে আরব বণিকদের দাপট বেড়ে গিয়েছিল।

ব্যাখ্যা - ৩ : পাল - সেন যুগে রাজারা কৃষকের উৎপন্ন ফসলের উপর কর নিতেন। 


উত্তর - ব্যাখ্যা - ২ : পাল - সেন যুগে ভারতের পশ্চিম দিকের সাগরে আরব বণিকদের দাপট বেড়ে গিয়েছিল।



(খ) বিবৃতি : দক্ষিণ ভারতে মন্দির ঘিরে লোকালয় ও বসবাস তৈরি হয়েছিল।

ব্যাখ্যা - ১ : রাজা ও অভিজাতরা মন্দিরকে নিষ্কর জমি দান করতেন।

ব্যাখ্যা - ২ : নদী থেকে খাল কেটে সেচব্যবস্থার উন্নতি করা হয়েছিল।

ব্যাখ্যা - ৩ : দক্ষিণ ভারতে রাজারা অনেক মন্দির তৈরি করেছিলেন।


উত্তর - ব্যাখ্যা - ১ : রাজা ও অভিজাতরা মন্দিরকে নিষ্কর জমি দান করতেন।



(গ) বিবৃতি : সেন যুগে বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার ও প্রসার কমে গিয়েছিল।

ব্যাখ্যা - ১ : সেন রাজারা বৌদ্ধ ছিলেন।

ব্যাখ্যা - ২ : সেন রাজারা ব্রাহ্মণ্য ধর্মকেই প্রাধান্য দিতেন।

ব্যাখ্যা - ৩ : সমাজে শুদ্রদের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছিল।


উত্তর - ব্যাখ্যা - ২ : সেন রাজারা ব্রাহ্মণ্য ধর্মকেই প্রাধান্য দিতেন।



৩) সংক্ষেপে ( ৩০ - ৫০ টি শব্দের মধ্যে ) উত্তর দাও :


(ক) দক্ষিণ ভারতে খ্রিস্টীয় নবম থেকে একাদশ শতকের মধ্যে বাণিজ্যের উন্নতি কেন ঘটেছিল ?

উত্তর - দক্ষিণ ভারতে নবম থেকে একাদশ শতকের মধ্যে বাণিজ্যের উন্নতি লক্ষ্য করা যায়। বিভিন্ন লেখ থেকে জানা যায় যে, চেট্টি বা বণিকরা পণ্য সাজিয়ে যাতায়াত করতেন। বিভিন্ন বণিক সংগঠন বা সমবায়ের কথাও জানা যায়। ওই সংগঠনগুলি বিভিন্ন মন্দিরকে জমি দান করতেন। সেরকম বর্ণনা দক্ষিণ ভারতে তাম্রলেখগুলিতে পাওয়া যায়। দক্ষিণ - পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে চোলদের ক্ষমতা বাড়ায় সেখানকার বাণিজ্যের উপর ভারতীয় বণিকদের প্রভাব আস্তে আস্তে বেড়েছিল।



(খ) পাল ও সেন যুগে বাংলায় কি কি ফসল উৎপন্ন হতো? সেই ফসল গুলির কোন কোনটি এখনো চাষ করা হয় ?

উত্তর - পাল ও সেন যুগের প্রধান ফসল গুলি ছিল ধান, সরষে এবং নানা রকমের ফল যেমন আম, কাঁঠাল, কলা, ডালিম, খেজুর, নারকেল ইত্যাদি। এছাড়া তুলো, পান, সুপুরি, এলাচ, মহুয়া ইত্যাদিও প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হতো।
পাল ও সেন যুগের যেসব ফসল এখনো চাষ করা হয় সেগুলি হল - ধান, সরষে, আম, কাঁঠাল, কলা, ডালিম, নারকেল, তুলো, সুপারি ইত্যাদি।



(গ) রাজা লক্ষণ সেনের রাজসভার সাহিত্যচর্চার পরিচয় দাও ।

উত্তর - সেন যুগ ছিল বাংলার শিক্ষা ও সংস্কৃতির অগ্রগতির যুগ। সেন যুগে লক্ষণ সেনের রাজসভার কবি জয়দেব সবচেয়ে বিখ্যাত সাহিত্যিক ছিলেন। তিনি গীতগোবিন্দম কাব্য রচনা করেন। লক্ষণ সেনের রাজসভার আর এক কবি ধোয়ী লিখেছিলেন পবনদূত কাব্য। এ যুগের আরও তিনজন কবি ছিলেন গোবর্ধন, উমাপতিধর এবং শরণ। এই পাঁচজন কবি একসঙ্গে লক্ষণ সেনের রাজসভার পঞ্চরত্ন ছিলেন। রাজা বল্লাল সেন এবং লক্ষণ সেন দুজনেই স্মৃতিশাস্ত্র লিখেছিলেন। বল্লাল সেনের লেখা দানসাগর এবং অদ্ভুতসাগর বই দুটি ছিল উল্লেখযোগ্য। লক্ষণ সেনের মন্ত্রী হলায়ুধ বৈদিক নিয়ম বিষয়ে ব্রাহ্মণসর্বস্ব নামে একটা বই লিখেছিলেন। এছাড়াও অভিধানপ্রণেতা সর্বানন্দ এবং গণিতজ্ঞ শ্রীনিবাস ছিলেন সেন যুগের বিখ্যাত লেখক।




(ঘ) পাল শাসনের তুলনায় সেন শাসন কেন বাংলায় কম দিন স্থায়ী হয়েছিল ?

উত্তর - গোপাল যখন রাজা হয়েছিলেন তখন তার পিছনে জনসমর্থন ছিল। পাল শাসকরা নিজেদেরকে সমাজে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পেরেছিলেন। এছাড়া শিক্ষাদিক্ষা ধর্মচর্চা শিল্পকলায় পাল শাসকরা অনেক এগিয়েছিল। অন্যদিকে, বিজয়সেন কোন জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসেননি। বাংলার সমাজে সেন শাসকরা নিজেদের  গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পারেননি। তাই ৪০০ বছরেরও বেশি সময় পালশাসন বাংলায় স্থায়ী হলেও সেন শাসন কম দিন স্থায়ী হয়েছিল।



(৪) বিশদে ( ১০০-১২০ টি শব্দের মধ্যে ) উত্তর লেখো :


(ক) ভারতের সামন্ত ব্যবস্থার ছবি আঁকতে গেলে কেন তা একখানা ত্রিভুজের মতো দেখায় ? এই ব্যবস্থায় সামান্তরা কীভাবে জীবিকা নির্বাহ করত ?

উত্তর - ভারতের সামন্ত ব্যবস্থার ছবি আঁকতে গেলে তা একখানা ত্রিভুজের মতো দেখায় কারণ - এই সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থায় নিম্ন শ্রেণীর ওপর শোষণকারী ব্যক্তির সংখ্যা ওপরের দিকে ক্রমপর্যায়ে কমতে কমতে প্রধান একজন শাসক বা রাজার উপর দাঁড়াত। ফলে তা অনেকটা ত্রিভুজের মতো দেখাত। সবার ওপরে ছিলেন রাজা। তার নিচে ছিল কিছু মহাসামন্ত। তাদের নিচে ছিল কিছু সামন্ত। আর সবার নিচে ছিল কৃষক, শ্রমিক ও সাধারণ শ্রেণী। রাজস্ব ও শাসনের অধিকার এইভাবে স্তরে স্তরে ভাগ হয়ে যাওয়াকে সামন্ত ব্যবস্থা বলে।

সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থায় সামন্ত শাসকরা কেউ পরিশ্রম করে উৎপাদন করত না। প্রত্যেকেই নিম্ন শ্রেণীর থেকে আদায়কৃত রাজস্ব থেকে নিজেরা জীবিকা নির্বাহ করত।সামন্তদের মধ্যে অনেকেই ছিল উঁচু রাজকর্মচারী। তাদের নগদ বেতন না দিয়ে অনেক সময় জমি দেওয়া হতো। সেই জমি রাজস্বই ছিল ওই কর্মচারীদের আয়। এই অন্যের সমভোগী গোষ্ঠীর মধ্যেও স্তরভাব ছিল। সামন্ততান্ত্রিক সমাজে রাজা ছিলেন সর্ব প্রধান। রাজস্ব আদায়ের জন্য সামন্তরা কৃষকদের শোষণ করত ও জমিতে বেগার খাটাত। এভাবে সামন্ত শাসকরা নিম্নশ্রেণিকে শোষণ করে যতটা সম্ভব বেশি রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন।



(খ) পাল ও সেন যুগের বাংলার বাণিজ্য ও কৃষির মধ্যে তুলনা করো ।

উত্তর - পাল ও সেন যুগের বাংলার অর্থনীতির প্রধান ভিত্তি ছিল কৃষি ও বাণিজ্য। কৃষি ও বাণিজ্য অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সমপর্যায়ে পৌঁছতে পারেনি। 
পাল ও সেন যুগে স্থল ও জলপথে বাণিজ্যের আদান প্রদান হত। প্রাচীন নগরগুলি বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্র ছিল। বাংলার তমলুক বন্দরটি ছিল আন্তর্জাতিক বন্দর। বাংলার বস্ত্র ও নানা ধরনের গাছ-গাছড়া বিদেশে চালান যেত। 
পাল ও সেন যুগে কৃষি ছিল বাংলার অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি। বৈদেশিক বাণিজ্যে বাংলার বণিকদের গুরুত্ব কমে যাওয়ায় বাংলার অর্থনীতি কৃষি নির্ভর হয়ে পড়েছিল। প্রতি গ্রামে বাস্তু ভূমি ছাড়াও কৃষি ও গোচারণ ভূমি ছিল। ধান পার্ট আক তুলো ছিল বাংলার প্রধান কৃষিজাত ফসল। এছাড়া নানা ফল ও ফুলের চাষ হত। রাজারা উৎপন্ন ফসলের ১/৬ ভাগ কৃষকদের কাছ থেকে কর হিসেবে নিতেন। সেন যুগেও ব্রাহ্মণদের ভূমিদান করা হত।



(গ) পাল আমলের বাংলার শিল্প ও স্থাপত্যের কী পরিচয় পাওয়া যায় তা লেখো।

উত্তর - শিল্প ও স্থাপত্যের ক্ষেত্রে পাল রাজাদের অবদান  ইতিহাসের পাতায় চিরস্মরণীয়। পালযোগে কারুশিল্পে, কাঁচশিল্পে, মৃৎশিল্পে ও ধাতু শিল্পে বাঙালিরা যথেষ্ট পারদর্শিতা লাভ করেছিল। পাল যুগের শিল্প রীতি কি প্রাচ্য শিল্প রীতি বলা হয়। পাল আমলের স্থাপত্যের মধ্যে ছিল স্তূপ, বিহার এবং মন্দির। পাল রাজত্বে তৈরি স্তূপগুলো শিকড়ের মতো দেখতে ছিল। মন্দির নির্মাণে স্থানীয় পোড়ামাটির ইট এবং কাদার গাঁথুনি ব্যবহার করা হয়েছিল। এ যুগে পাথর ও ধাতু শিল্পের যেসব নিদর্শন পাওয়া গেছে সেগুলির বেশিরভাগ হলো দেবদেবীর মূর্তি। কাঠের তৈরি মূর্তিও উল্লেখযোগ্য। বর্তমানে বাংলাদেশের ঢাকা জেলার আশরফপুর, রাজশাহীর পাহাড়পুরে, চট্টগ্রামে, পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায় ভরতপুর গ্রামে বৌদ্ধ স্তূপ পাওয়া গেছে। তবে স্তুপ নির্মাণে বাংলায় কোন মৌলিক ভাবনার বিকাশ লক্ষ্য করা যায়নি।

পাল আমলের ভাস্কর্য গুলি ওই আমলের শিল্পের সবচেয়ে উৎকৃষ্ট উদাহরণ। এ যুগে স্থাপত্য শিল্পকলার শ্রেষ্ঠ নিদর্শন হিসেবে বিক্রমশীল মহাবিহার ও সোমপুরী বিহার গুলি ছিল বৌদ্ধ ভিক্ষুকদের বাসস্থান ও বৌদ্ধ জ্ঞান চর্চার কেন্দ্র। পাহাড়পুর প্রত্ন ক্ষেত্রে মন্দিরের গায়ে পাথরের ফলক রয়েছে, যার মধ্যে স্থানীয় রীতির প্রভাব স্পষ্ট। ফলক গুলিতে রাধাকৃষ্ণ, যমুনা, বলরাম, শিব, বুদ্ধ, অবলোকিতেশ্বরের মূর্তি আছে। মন্দিরের মধ্যে সোমপুরী বিহারের মন্দিরই ছিল উল্লেখযোগ্য। চার কোণা এই মন্দিরে গর্ভগৃহ, প্রদক্ষিণ পথ, মণ্ডপ, সুউচ্চ স্তম্ভ ইত্যাদি ছিল।



(ঘ) পাল ও সেন যুগে সমাজ ও ধর্মের পরিচয় দাও ?

উত্তর - বাংলায় পালযুগী বিভিন্ন সামাজিক শ্রেণীর উল্লেখ পাওয়া যায়। যেমন ব্রাহ্মণ, করণ - কায়স্থ, বৈদ্য গন্ধবনিক, মালাকার, তন্তুবায় ইত্যাদি। সমাজে ব্রাহ্মণদের প্রভাব ছিল যথেষ্ট। 
সেন যুগে ব্রাহ্মণ্য সংস্কারের ফলে বর্ণ ভিত্তিক সমাজ গড়ে ওঠে। ব্রাহ্মণ্য ভিত্তিক সমাজে ব্রাহ্মণদের স্থান ছিল সবার উপরে। বাংলার হিন্দু সমাজে ব্রাহ্মণ, কায়স্থ, বৈশ্য এই তিন শ্রেণীর মধ্যে কৌলিন্য প্রথার প্রচলন ছিল। অনেকের মতে রাজা বল্লাল সেন কৌলিন্য প্রথার প্রবর্তন করেন। 

ভালো সেন যুগের সমাজে নারীর তেমন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল না। একটি মাত্র স্ত্রী গ্রহণ করাই ছিল স্বাভাবিক প্রথা। তবে রাজারা ও অভিজাত্যদের মধ্যে একাধিক স্ত্রী গ্রহণ করার রেওয়াজও ছিল। 

পাল রাজারা ব্রাহ্মণ ছিলেন না। এরা ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মের পৃষ্ঠপোষক। বৌদ্ধ ধর্ম প্রসারের উদ্দেশ্যে পাল রাজারা অনেক বৌদ্ধমত ও শিক্ষায়তন প্রতিষ্ঠা করেন। পাল রাজারা বৌদ্ধ ধর্মের অনুগামী হলেও অন্যান্য ধর্মের প্রতি সমব্যবহার ও উদারতা দেখাতেন। 

সেন যুগে পৌরাণিক ব্রাহ্মণ্য ধর্ম প্রবল হয়ে ওঠায় বাংলার বৌদ্ধ ধর্ম কোন ভাষা হয়ে পড়ে। সেন যুগে বিষ্ণু, শিব, পার্বতী প্রভৃতি দেব-দেবীর পূজার রীতিমতো শুরু হয়। এবং বহু মন্দিরে নির্মিত হয়।



অন্যান্য প্রশ্ন উত্তর 

১) সামন্ততন্ত্র কি ?

উত্তর - মধ্যযুগে ইউরোপে প্রভু ও তার অনাচরদের মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামরিক লেনদেনের যে বিশেষ সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাকে সামন্ততন্ত্র বলা হয়। ভারতীয় সামন্ততন্ত্রের ছিল একদিকে রাজা ও সামন্ত প্রভুদের পারস্পরিক লেনদেনের সম্পর্ক। অন্যদিকে ছিল সামন্ত প্রভুদের সাথে কৃষকদের আর্থিক আদান-প্রদানের বোঝাপড়া।


২) চক্রপানিদত্ত কে ছিলেন ?

উত্তর - চক্রপানিদত্ত ছিলেন পাল যুগের একজন নামকরা চিকিৎসা বিজ্ঞানী। তার বাড়ি ছিল সম্ভবত বীরভূম জেলায়। প্রাচীন ভারতের প্রখ্যাত চিকিৎসা বিজ্ঞানী চড়ক ও সুশ্রুত এর রচনার ওপর তিনি টীকা লিখেছিলেন। এছাড়া ভেষজ গাছ-গাছড়া, ওষুধের উপাদান, পতনীয় তিনি বই লিখেছেন। তার লেখা সেরা বই হল চিকিৎসা সংগ্রহ। 



৩) চর্যাপদ কি ?

উত্তর - চর্যাপদ হলো অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতকে লেখা বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যদের কবিতা ও গানের সংকলন। চর্যাপদে যে ভাষা রয়েছে তা হলো আদি বাংলা ভাষা নিদর্শন। আচার্য হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপাল থেকে এই চর্যাপদের পুঁথি উদ্ধার করেন।



৪) দীপঙ্কর- শ্রীজ্ঞান কে ছিলেন ?

উত্তর - ভারত এবং বহির ভারতের মধ্যে পারস্পরিক নির্ভরশীলতার অন্যতম উদাহরণ হলেন দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান। বাঙালি বৌদ্ধ আচার্যদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত এবং শ্রেষ্ঠ পন্ডিত অতিশীর জন্ম বঙ্গাল অঞ্চলের বিক্রমণিপুরের বজ্রযোগিনী গ্রামে। তিনি ব্রাহ্মণ্য মতবাদে বিশ্বাসী ছিলেন না বলে তার বাড়ি আজও নাস্তিক পন্ডিতের ভিটা নামে পরিচিত। ওদন্তপুরী বিহারে আচার্য শীলরক্ষিতের কাছে দীক্ষা নিয়ে তিনি দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান নামে পরিচিত হন। তিনি বিক্রমশীল, তদন্তপুরী এবং সোমপুরী মহাবিহারের আচার্য ও অধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি দুর্গম হিমালয় অতিক্রম করে তিব্বতে যান। সেখানে তিনি বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার করেন। তারই চেষ্টায় তিব্বতে বৌদ্ধ ধর্ম জনপ্রিয় হয়। 



M.C.Q 


১) চোল রাজ্যে কোন ধাতুর হস্তশিল্প বিখ্যাত ছিল ?

উত্তর - চোল রাজ্যে ব্রোঞ্জ ধাতুর হস্তশিল্প বিখ্যাত ছিল।



২) চোল রাজ্যের প্রদেশ কে কি বলা হত ?

উত্তর - চোল রাজ্যের প্রদেশকে মন্ডলম বলা হত।



৩) চোল বণিকদের কি বলা হত ?

উত্তর - চোল বণিকদের চেট্টি বলা হতো। 



৪) " উর " ও ' নাড়ু ' কি দায়িত্ব পালন করত ?

উত্তর - " উর " ও ' নাড়ু ' স্বায়ত্তশাসন, বিচার ও রাজস্ব সংগ্রহের দায়িত্ব পালন করত।



৫) দক্ষিণ ভারতে ব্রাহ্মণদের নিষ্কর জমি দানের ব্যবস্থা কি নামে পরিচিত ছিল ?

উত্তর - ব্রহ্মদেয় ব্যবস্থা ।



৬) পাল ও সেন যুগের বাংলায় জিনিস কেনাবেচার প্রধান মাধ্যম কি ছিল ?

উত্তর - কড়ি।



৭) ভালো সেন যুগে কৃষকদের থেকে রাজা কি পরিমান কর আদায় করতেন ?

উত্তর - ১/৬ ভাগ করা আদায় করতেন।



৮) চক্রপানিদত্তের লেখা বইটির নাম কি ?

উত্তর - চিকিৎসা সংগ্রহ। 



৯) পাল যুগের একজন বিখ্যাত চিকিৎসা বিজ্ঞানী নাম লেখ ?

উত্তর - চক্রপানি দত্ত। 



১০) পাল ও সেন যুগে কি কি ফসল চাষ হতো ?

উত্তর - পাল ও সেন যুগে ধান, সরষে, আম, কাঁঠাল, কলা, ডালিম, খেজুর, নারকেল ইত্যাদি চাষ হতো।



১১) কয়েকজন সিদ্ধান্তের নাম লেখ ?

উত্তর - কয়েকজন সিদ্ধাচার্য হলেন লুইপাদ, সরহ্পাদ, কান্হপদ প্রমূখ।



১২) চর্যাপদের পুঁথি কে কোথা থেকে উদ্ধার করেন ?

উত্তর - চর্যাপদের পুঁথি হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপাল থেকে উদ্ধার করেন। 



১৩) পাল যুগের কয়েকটি বৌদ্ধ বিহারের নাম লেখ ?

উত্তর - পাল যুগের কয়েকটি বৌদ্ধ বিহারের নাম হল নালন্দা, ওদন্তপুরী, বিক্রমশীল, জগদ্দল ইত্যাদি।



১৪) পাল যুগের দুজন প্রসিদ্ধ শিল্পীর নাম লেখ ?

উত্তর - পাল যুগের দুজন প্রসিদ্ধ শিল্পী হলেন ধীমান ও বীটপাল।



১৫) সেন যুগের পূজিত দেবদেবীর নাম লেখ ?

উত্তর - সেন যুগের পূজিত দেব-দেবীর নাম হল - ইন্দ্র, অগ্নি, সূর্য, বৃহস্পতি, গঙ্গা-যমুনা, শিব, বিষ্ণু।



১৬) সেন আমলে " পঞ্চরত্ন " কারা ছিলেন ?

উত্তর -  জয়দেব, ধোয়ী, গোবর্ধন, উমাপতিধর, ও শরণ এই পাঁচজন কবি সেন রাত সভায় " পঞ্চরত্ন "  নামে পরিচিত ছিলেন ।



১৭) বল্লাল সেন রচিত দুটি বইয়ের নাম লেখ ।

উত্তর - বল্লাল সেন রচিত দুটি বইয়ের নাম হল দানসাগর ও অদ্ভুতসাগর।



১৮) দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান কার কাছে দীক্ষা নিয়েছিলেন ?

উত্তর - দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান আচার্য শীলরক্ষিতের কাছে দীক্ষা নিয়েছিলেন। 



১৯) আঙ্কোরভাট মন্দির কোথায় অবস্থিত ?

উত্তর - কম্বোডিয়ায় অবস্থিত। 



২০) বোরোবোদুরের বৌদ্ধ মন্দির কোথায় অবস্থিত ?

উত্তর - ইন্দোনেশিয়ায়। 



২১) দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানকে কোথায় সমাধিস্ত করা হয়েছিল ?

উত্তর - তিব্বতের রাজধানী লাসায়। 



২২) চোল রাজ্যের প্রধান ছিলেন কে ?

উত্তর - চোল রাজ্যের প্রধান ছিলেন রাজা। 



২৩) বাংলার মানুষ আলু খেতে শিখেছে কাদের কাছ থেকে ?

উত্তর - পোর্তুগিজদের কাছ থেকে। 



২৪) রামচরিত কাব্য কে  লিখেছেন ?

উত্তর - রামচরিত কাব্যটি কবি সন্ধ্যা কর নন্দী লিখেছেন।



২৫) নালন্দা বৌদ্ধবিহার কোন রাজ্যে অবস্থিত ?

উত্তর - আজকের বিহার রাজ্যে অবস্থিত। 



২৬) দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানের বাড়ি কি নামে পরিচিত ?

উত্তর - ' নাস্তিক পন্ডিতের ' ভিটা  নামে পরিচিত।



২৭) দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান ছিলেন _____ মহাবিহার এর একজন মহাচার্য ।

উত্তর - বিক্রমশীল। 



২৮) তিব্বতের রাজা ______ অনুরোধে দীপঙ্কর শৃগেন দুর্গম হিমালয় অতিক্রম করে তিব্বতে যান। 

উত্তর - জ্ঞানপ্রভের। 



২৯) " ক " স্তম্ভের সাথে " খ "স্তম্ভ মেলাও :

নালন্দা বৌদ্ধবিহার বিহার
ধোয়ী ঢাকা
গ্রাম পরিষদ বৌদ্ধ বিহারের আচার্য
শান্ত রক্ষিত পবনদূত
বিক্রমপুরী উর

উত্তর - 
নালন্দা বৌদ্ধবিহার বিহার
ধোয়ী পবনদূত
গ্রাম পরিষদ উর
শান্ত রক্ষিত বৌদ্ধ বিহারের আচার্য
বিক্রমপুরী ঢাকা


৩০) " ক " স্তম্ভের সাথে " খ "স্তম্ভ মেলাও :

বিক্রমশীল তিব্বতের রাজধানী
জয়দেব চেট্টি
বণিক শিল্পী
লাসা বিহারের ভাগলপুর
বীটপাল গীতগোবিন্দ

উত্তর - 

বিক্রমশীল বিহারের ভাগলপুর
জয়দেব গীতগোবিন্দ
বণিক চেট্টি
লাসা তিব্বতের রাজধানী
বীটপাল শিল্পী



শেষ কথা ঃ- 

এই পোস্টে Class VII History Chapter 3 থেকে প্রশ্ন উত্তর আলচনা করা হলো। পরে আরও গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় আসার মতো প্রশ্ন উত্তর আপডেট দেওয়া হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Edu হোস্টারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url