জল স্থল বাতাস প্রশ্ন উত্তর class 6

জল - স্থল - বাতাস প্রশ্ন উত্তর class 6 | class 6 geography chapter 5 question answer wbbse

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :-

১) নীল আকাশটা হল - (জলের/বায়ুর/মেঘের) স্তর। 

উত্তর - নীল আকাশটা হল - বায়ুর স্তর। 



২) সূর্যের আলো ভেঙে যায় - (৭/৮/৬) টি রঙে।

উত্তর - সূর্যের আলো ভেঙে যায় - ৭ টি রঙে।



৩) বায়ুমন্ডলে সবথেকে বেশি রয়েছে - (অক্সিজেন/নাইট্রোজেন/মিথেন) গ্যাস। 

উত্তর - বায়ুমন্ডলে সবথেকে বেশি রয়েছে -  নাইট্রোজেন গ্যাস। 



৪) মেঘ,ঝড়, বৃষ্টি হয় বায়ুমণ্ডলের - (ট্রপোস্ফিয়ার/স্ট্যাটোস্ফিয়ার/মেসোস্ফিয়ার) স্তরে।

উত্তর - মেঘ,ঝড়, বৃষ্টি হয় বায়ুমণ্ডলের - ট্রপোস্ফিয়ার স্তরে।



৫) বায়ুমন্ডলের শান্ত স্তর বলা হয় - (ট্রপোস্ফিয়ার/স্ট্যাটোস্ফিয়ার/মেসোস্ফিয়ার) স্তরকে।

উত্তর - বায়ুমন্ডলের শান্ত স্তর বলা হয় - স্ট্যাটোস্ফিয়ার স্তরকে।



৬) জেট প্লেন চলাচল করে - (ট্রপোস্ফিয়ার/স্ট্যাটোস্ফিয়ার/মেসোস্ফিয়ার) স্তর দিয়ে।

উত্তর - জেট প্লেন চলাচল করে - স্ট্রাটোস্ফিয়ার স্তর দিয়ে।



৭) অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে - (ওজন/স্ট্যাটোস্ফিয়ার/মেসোস্ফিয়ার) স্তর।

উত্তর - অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে - ওজন স্তর।



৮) বেতার তরঙ্গ পৃথিবীতে ফিরে আসে - ( ট্রপোস্ফিয়ার/ আয়নোস্ফিয়ার/ এক্সোস্ফিয়ার) তর থেকে। 

উত্তর - বেতার তরঙ্গ পৃথিবীতে ফিরে আসে - আয়নোস্ফিয়ার তর থেকে। 



৯) কৃত্রিম উপগ্রহ, মহাকাশ স্টেশন থাকে - (ট্রপোস্ফিয়ার/ আয়নোস্ফিয়ার/ এক্সোস্ফিয়ার) স্তরে। 

উত্তর - কৃত্রিম উপগ্রহ, মহাকাশ স্টেশন থাকে - এক্সোস্ফিয়ার স্তরে। 



১০) পৃথিবীর সব থেকে বাইরের পাতলা শক্ত স্তরকে বলে - (গুরুমন্ডল/ কেন্দ্রমন্ডল/ ভূ-ত্বক)।

উত্তর - পৃথিবীর সব থেকে বাইরের পাতলা শক্ত স্তরকে বলে ভূ-ত্বক।



১১) ভূত্বক ও গুরুমন্ডলের মাঝে আছে -(গুটেনবার্গ / মোহোরোভিসিক/রেপিত্তি) বিযুক্তি রেখা। 

উত্তর - ভূত্বক ও গুরুমন্ডলের মাঝে আছে মোহোরোভিসিক বিযুক্তি রেখা। 



১২) গুরুমন্ডল ও কেন্দ্রমন্ডলের মাঝে আছে - (গুটেনবার্গ / মোহোরোভিসিক/রেপিত্তি) বিযুক্তি রেখা। 

উত্তর - গুরুমন্ডল ও কেন্দ্রমন্ডলের মাঝে আছে - গুটেনবার্গ বিযুক্তি রেখা।



১৩) পৃথিবীর মোট জল ভান্ডারের নাম (বায়ুমণ্ডল/বারিমন্ডল/জল মন্ডল)।

উত্তর - পৃথিবীর মোট জল ভান্ডারের নাম বারিমন্ডল।



১৪) পৃথিবীর চার ভাগের তিন ভাগই - (জল/বায়ু/মাটি)।

উত্তর - পৃথিবীর চার ভাগের তিন ভাগই - জল।



১৫) পৃথিবীকে বলা হয় - (লাল/নীল/সাদা) গ্রহ। 

উত্তর - পৃথিবীকে বলা হয় - নীল গ্রহ। 



১৬) পৃথিবীর মোট জলের শতকরা (৯৫/৯৭/৯৮) ভাগ আছে সমুদ্রে। 

উত্তর - পৃথিবীর মোট জলের শতকরা ৯৭ ভাগ আছে সমুদ্রে। 



১৭) মহাদেশ সঞ্চরণের মূল কারণ হলো - (পরিচলন স্রোত/সঞ্চালন স্রোত/উষ্ণ স্রোত)।

উত্তর -  মহাদেশ সঞ্চরণের মূল কারণ হলো - পরিচলন স্রোত।



১৮) মহাদেশের সংখ্যা হল - (৭/৮/৯) টি।

উত্তর - মহাদেশের সংখ্যা হল - ৭ টি।



১৯) মহাসাগরের সংখ্যা হল - (৭/৫/৮) টি।

উত্তর - মহাসাগরের সংখ্যা হল - ৫ টি 



২০) বৃহত্তম মহাদেশ হলো - ( ইউরোপ/ আফ্রিকা/ এশিয়া)।

উত্তর - বৃহত্তম মহাদেশ হলো - এশিয়া।



২১) ক্ষুদ্রতম মহাদেশ হলো - (ওশিয়ানিয়া/ আফ্রিকা/ আন্টার্টিকা)।

উত্তর - ক্ষুদ্রতম মহাদেশ হলো - ওশিয়ানিয়া।



২২) বৃহত্তম মহাসাগর হল - (ভারত মহাসাগর/আটলান্টিক মহাসাগর/প্রশান্ত মহাসাগর)।

উত্তর - বৃহত্তম মহাসাগর হল - প্রশান্ত মহাসাগর। 



২৩) ক্ষুদ্রতম মহাসাগর হল - (ভারত মহাসাগর/সুমেরু মহাসাগর/কুমেরু মহাসাগর)।

উত্তর - ক্ষুদ্রতম মহাসাগর হল - সুমেরু মহাসাগর।



২৪) ওজোন স্তর  নষ্ট করে দেয় - (কার্বন ডাই অক্সাইড/ক্লোরোফ্লুরো কার্বন/মিথেন) গ্যাস। 

উত্তর - ওজোন স্তর নষ্ট করে দেয় -  ক্লোরোফ্লুরো কার্বন গ্যাস। 



২৫) পৃথিবীর উষ্ণতা দিন দিন বাড়ছে একে বলে - (বিশ্ব উষ্ণায়ন/বিশ্ব অবনয়ন/বিশ্ব শীতলায়ন)।

উত্তর - পৃথিবীর উষ্ণতা দিন দিন বাড়ছে একে বলে - বিশ্ব উষ্ণায়ন।


শূন্যস্থান পূরণ করো :-

১) মেরুজ্যতি দেখা যায় __________ স্তরে। 

উত্তর - থার্মোসফিয়ার বা আয়োনোস্ফিয়ার



২) শান্ত স্তর বলা হয় ______ স্তরকে। 

উত্তর - স্ট্র্যাটোসফিয়ার। 



৩) বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেন আছে ___ ।

উত্তর - ৭৮ %



৪) সৃষ্টির সময় পৃথিবী ছিল একটা _________।

উত্তর - জ্বলন্ত গ্যাসীয় পণ্ড।



৫) পৃথিবীর মাঝের অংশটা হলো _______।

উত্তর - গুরুমন্ডল। 



৬) পৃথিবীর মোট জল ভান্ডারের নাম ________।

উত্তর - বাড়ি মন্ডল। 



৭) জলের চক্রাকার আবর্তন হল ________।

উত্তর - জলচক্র। 



৮) পৃথিবীতে জলকে ________ অবস্থায় পাওয়া যায়। 

উত্তর - কঠিন, তরল ও বাষ্পীয়। 



৯) পৃথিবীর বিরাট অখণ্ড স্থলভাগ ছিল, যার নাম ______।

উত্তর - প্যানজিয়া। 



১০) প্যানজিযার চারদিকের বিশাল জলভাগকে বলা হয় __________।

উত্তর - প্যানথালাসা। 



১১) এশিয়া মহাদেশের প্রধান পর্বত শ্রেণী হলো ______।

উত্তর - হিমালয়। 



১২) এশিয়া মহাদেশের প্রধান নদী হল ______।

উত্তর - ইয়াংসি। 



১৩) আফ্রিকা মহাদেশের প্রধান নদী হল _______।

উত্তর - নীলনদ। 



১৪) সাহারা মরুভূমি অবস্থিত ________ মহাদেশে। 

উত্তর - আফ্রিকা। 



১৫) CFC নির্গত হয় ______ থেকে।

উত্তর - ফ্রিজ ,এসি।



১৬) অতিবেগুনি রশ্মি শুষে নেয় ________ স্তর। 

উত্তর - ওজন।



১৭) বেতার তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়ে ফিরে আসে _________ স্তর থেকে। 

উত্তর - মেসোস্ফিয়ার বা আয়োনোস্ফিয়ার। 



" ক " স্তম্ভের সাথে " খ "স্তম্ভ মেলা :-


ক - স্তম্ভ খ - স্তম্ভ
আন্দিজ পৃথিবী
নীল গ্রহ জীবাশ্ম জ্বালানি
শান্ত স্তর উদ্ভিদ ও প্রাণী
বিশ্ব উষ্ণায়ন দক্ষিণ আমেরিকা
সজীব উপাদান স্ট্রাটোস্ফিয়ার


উত্তর - 
ক - স্তম্ভ খ - স্তম্ভ
আন্দিজ দক্ষিণ আমেরিকা
নীল গ্রহ পৃথিবী
শান্ত স্তর স্ট্রাটোস্ফিয়ার
বিশ্ব উষ্ণায়ন জীবাশ্ম জ্বালানি
সজীব উপাদান উদ্ভিদ ও প্রানি

সংক্ষেপে উত্তর দাও :-

১) আকাশকে নীল দেখায় কেন ?

উত্তর - নীল আকাশ হল পৃথিবীকে ঘিরে থাকা বায়ুর স্তর। বাতাসে প্রচুর ধুলো কণা, জলের কণা ভেসে বেড়ায়। দিনের বেলা এগুলোতে ধাক্কা খেয়ে সূর্যের আলো সাত রঙে ভেঙে যায়। এর মধ্যে নীল রং সবচেয়ে বেশি আকাশ জুড়ে বিচ্ছুরিত হয়। তাই আকাশকে নীল দেখায়।



২) বায়ুমণ্ডলকে কয়টি স্তরে ভাগ করা যায় ও কি কি ?

উত্তর - বায়ুমণ্ডল কে ৫টি স্তরে ভাগ করা যায়। যথা - (ক) ট্রপোস্ফিয়ার,  (খ) স্ট্যাটোস্ফিয়ার, (গ) মেসোস্ফিয়ার, (ঘ) থার্মোস্ফিয়ার ও (ঙ) এক্সোস্ফিয়ার। 



৩) স্ট্যাটোস্ফিয়ার কে শান্ত স্তর বলা হয় কেন ?

উত্তর - এই স্তরে বাতাসের পরিমাণ খুব কম, ধূলুকণা, জলকণার নেই। তাই মেঘ, বৃষ্টি কিছুই হয় না। সব সময় শান্ত ভাব বিরাজ করে। তাই এই স্তরকে শান্ত স্তর বলা হয়।



৪) জেটপ্লেন কোন স্তরের মধ্য দিয়ে চলাচল করে ? ও কেন ?

উত্তর - জেট প্লেন স্ট্যাটোস্ফিয়ার স্তরের মধ্য দিয়ে চলাচল করে। কারণ এখানে বাতাসের পরিমাণ কম। ধুলোকণার জলকণা মেঘ বৃষ্টি কিছুই নেই। তাই সবসময় শান্ত ভাব বিরাজ করে। তাই এই স্তরের মধ্য দিয়ে জেটপ্লেন চলাচল করে।




৫) ভূপৃষ্ঠ থেকে কত কিমি পর্যন্ত বাতাসের অস্তিত্ব রয়েছে ?

উত্তর - ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০,০০০০ কিমি পর্যন্ত বাতাসের অস্তিত্ব রয়েছে।



৬) বায়ুমন্ডলে কত ভাগ অক্সিজেন রয়েছে ?

উত্তর - বায়ুমন্ডলে শতকরা প্রায় ২১ ভাগ অক্সিজেন রয়েছে।



৭) বায়ুমন্ডলে কি কি উপাদান রয়েছে ?

উত্তর - বায়ুমন্ডলে নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, আর্গণ, মিথেন, হাইড্রোজেন, হিলিয়াম, নিয়ন, ওজন, কার্বন ডাই অক্সাইড, জলীয় বাষ্প ও ধূলিকণা রয়েছে।



৮) বায়ুমণ্ডল কাকে বলে  ?

উত্তর - পৃথিবীর গায়ে চাদরের মত লেগে থাকা বায়ু স্তরই হল বায়ুমণ্ডল।



৯) অতিবেগুনি রশ্মি কোন স্তর শুষে নেয় ?

উত্তর - অতিবেগুনি রশ্মি ওজন স্তরে শুষে নেয়।



১০) মেরু জেতি দেখা যায় কোন স্তরে ?

উত্তর - মেরুজ্যতি দেখা যায় থার্মোস্ফিয়ার স্তরে।



১১) কৃত্রিম উপগ্রহ ও মহাকাশ স্টেশন থাকে কোন স্তরে ?

উত্তর - কৃত্রিম উপগ্রহ ও মহাকাশ স্টেশন থাকে এক্সোস্ফিয়ার স্তরে।



১২) পৃথিবীর অভ্যন্তর ভাগকে কয়টি স্তরে ভাগ করা যায় ও কি কি ?

উত্তর - পৃথিবীর অভ্যন্তর ভাগকে তিনটি স্তরে ভাগ করা যায়। যথা- ভূত্বক, গুরুমন্ডল ও কেন্দ্রমন্ডল।



১৩) ভূত্বক কাকে বলে ?

উত্তর - পৃথিবীর সব থেকে বাইরের পাতলা শক্ত আস্তরণকে ভূত্বক বলে ।



১৩) গুরুমন্ডল কাকে বলে ?

উত্তর - পৃথিবীর অভ্যন্তরে ভূত্বকের ও কেন্দ্রমন্ডলের মাঝের স্তরটিকে গুরুমন্ডল বলে। 



১৪) শিলামন্ডল কাকে বলে ?

উত্তর - স্থলভাগ মূলত শিলা আর মাটি দিয়ে তৈরি। তাই একে শিলামন্ডল বলা হয়। শিলামন্ডল থেকে আমরা লোহা, তামা, সোনা, অ্যালুমিনিয়াম, চুনাপাথর, মার্বেল, জিপসাম পাই। এছাড়াও মাটির নিচের কয়লা, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করি। 




১৫) বাড়ি মণ্ডল কাকে বলে ? 

উত্তর - সৃষ্ট সময় বহু কোটি বছর পর পৃথিবীর বাইরেটা ঠান্ডা হয়ে আসে। তখন আকাশের রাশি রাশি জলীয় বাষ্প ঠান্ডা হয়ে অবিশ্রান্ত বৃষ্টির মতো পৃথিবীতে নেমে আসে। হাজার হাজার বছর ধরে সেই প্রবল বৃষ্টির জলে পৃথিবীর জায়গাগুলো ভরাট হয়ে সাগর মহাসাগর সৃষ্টি হয়। পৃথিবীর মোট জল ভান্ডারের নাম বরিমন্ডল।




৬) পৃথিবীকে নীল গ্রহ বলা হয় কেন ?

উত্তর - পৃথিবীর চারভাগের তিন ভাগই জল রয়েছে। তাই মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে ঝলমলে নীল গোলকের মতো দেখা যায়। তাই পৃথিবীকে নীল গ্রহ বলা হয়। 




১৭) আমাদের রোজকার জীবনে জল কি কি কাজে লাগে ?

উত্তর - আমাদের রোজকার জীবনে রান্নাবান্না, স্নান ও জামা কাপড় কাঁচা, পানীয় জল হিসেবে, কৃষি কাজে জল লাগে।




১৮) মেঘ কিভাবে তৈরি হয় ?

উত্তর - সূর্যের তাপে নদ-নদী, জলাশয়, সমুদ্র থেকে জল বাষ্প হয়ে বাতাসে মেশে। জলীয় বাষ্প যুক্ত বাতাস উপরের দিকে উঠে যায়। উপরের ঠান্ডা বায়ুর সংস্পর্শে জরির ওষুধ ঠান্ডা হয়ে গেল কনাই পরিণত হয় এবং ধূলিকণা কে আশ্রয় করে মেঘ হয়ে ভেসে বেড়ায়। এভাবেই মেঘ তৈরি হয়।




১৯) জলচক্র বলতে কী বোঝো ?

উত্তর - জল থেকে মেঘ, মেঘ থেকে বৃষ্টি আবার কখনো কঠিন বরফ, তুষার রূপে আকাশ আর পৃথিবীর মধ্যে ক্রমাগত আবর্তিত হয়ে চলেছে। জলের এই চক্রাকার আবর্তন হল জলচক্র। জলচক্রের মাধ্যমেই পৃথিবীতে জলকে তরল, কঠিন এবং বাষ্পীয় এই তিনটি অবস্থাতেই পাওয়া যায়।




২০) প্যানজিয়া কাকে বলে ?

উত্তর - প্রায় ২২.৫ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে একটাই বিরাট অখন্ড স্থলভাগ ছিল যার নাম প্যানজিয়া। 



২১) প্যানথালাসা কাকে বলে ?

উত্তর - প্রায় ২২.৫ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে একটাই জলভাগ ছিল যাকে কেন থালাসা বলা হয়।



২২) মহাদেশ সঞ্চরণের কারণ কি ?

উত্তর - পরিচলন স্রোত মহাদেশ সঞ্চালনের মূল কারণ। 



২৩) সাতটি মহাদেশের নাম লেখ ?

উত্তর - সাতটি মহাদেশ হলো - i) এশিয়া, (ii)ইউরোপ, (iii) উত্তর আমেরিকা, (iv) দক্ষিণ আমেরিকা, (v)আফ্রিকা, (vi) ওশিয়ানিয়া, (vii) আন্টার্টিকা।



২৪) বৃহত্তম ও ক্ষুদ্রতম মহাদেশের নাম লেখ ?

উত্তর - বৃহত্তম মহাদেশ হলো এশিয়া এবং ক্ষুদ্রতম মহাদেশ হলো ওশিয়ানিয়া। 



২৫) পাঁচটি মহাসাগরের নাম লেখ ?

উত্তর - পাঁচটি মহাসাগর হল - (i) প্রশান্ত মহাসাগর, (ii) আটলান্টিক মহাসাগর, (iii) ভারত মহাসাগর, (iv) সুমেরু মহাসাগর ও (v) কুমেরু মহাসাগর।



২৬) জীব মন্ডল কাকে বলে ?

উত্তর - জল, স্থল, বাতাসে ছড়িয়ে থাকা প্রায় ৩৫ হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ এবং ১৫ লক্ষ প্রজাতির প্রাণী নিয়ে তৈরি হয়েছে পৃথিবীর জীবমন্ডল।



২৭) পরিবেশের জড় উপাদানের নাম লেখ ?

উত্তর - পরিবেশের জড় উপাদান হলো জল, বাতাস, সূর্যের আলো। 



২৮) পরিবেশের সজীব উপাদানের নাম লেখ ?

উত্তর - পরিবেশের সজীব উপাদান হলো উদ্ভিদ প্রাণী সহ সমস্ত জীব জগৎ।



২৯) বায়ুমণ্ডল না থাকলে কি হতো ?

উত্তর - বায়ুমণ্ডল না থাকলে - (i) অন্যান্য গ্রহের মতোই পৃথিবী ও প্রাণহীন হয়ে যেত। 

(ii) পৃথিবী সূর্যাস্তের পর হঠাৎ ভীষণ ঠান্ডা আর সূর্যোদয়ের পর হঠাৎ প্রবল গরম হয়ে যেত।

(iii) প্রতিদিন প্রায় দশ হাজার কোটি ছোট ছোট উল্কা পৃথিবীর দিকে ছুটে আসে। কিন্তু বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে ঘষা লেগে জলে ছাই হয়ে যায় তাই পৃথিবীর কোন ক্ষতি হয় না। 



৩০) বিশ্ব উষ্ণায়ন কাকে বলে ?

উত্তর - যানবাহন এবং শিল্প কারখানা থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাস বাতাসে মিশছে। এই গ্যাসগুলো পৃথিবীর চারিদিকে এমন এক আবরণ তৈরি করে যা পৃথিবী থেকে জীবকুলের জীবনধারণের প্রয়োজনের অতিরিক্ত তাকে মহাশূন্যে ফিরে যেতে বাধা দেয়। দিনের পর দিন এই তাপ পৃথিবীর উষ্ণতাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। একেই বিশ্ব উষ্ণায়ন বলে। 



৩১) বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব লেখ ?

উত্তর - বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে গিয়ে সমুদ্র জলতলের উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে। প্রবল বন্যা, তীব্র খরা, বিধ্বংসী ঝড়, মরুভূমির প্রসার, তাপ প্রবাহ, এমনকি শস্যহানি থেকে দুর্ভিক্ষ মহামারী পর্যন্ত হতে পারে। 



৩২) ওজোন স্তর ক্ষয়ের কারণ কি ?

উত্তর - ফ্রিস, এসি থেকে নির্গত ক্ষতিকারক ক্লোরোফ্লোর কার্বন ও গ্রিনহাউস গ্যাস ওজোন স্তরে পৌঁছে তা নষ্ট করে দিচ্ছে।



৩৩) পরিবেশ কিভাবে দূষিত হচ্ছে ?

উত্তর - জনসংখ্যা বৃদ্ধি, বনাঞ্চল ধ্বংস করে শিল্প স্থাপন, কৃষিকাজ, বসতি নির্মাণ, প্রচুর পরিমাণে খনিজ তেল, কয়লা, কাঠ পোড়ানো - এসবের ফলে জল মাটি বাতাস সবই দূষিত হয়ে যাচ্ছে।





শেষ কথা :-  

 ষষ্ঠ শ্রেণির ভূগোল পঞ্চম আধ্যায় জল-স্থল-বাতাস এর  প্রশ্ন উত্তর গুলি সহজ সরল ভাবে আলচনা করা হল । এই আধ্যায়ের আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর পাওয়া গেলে তা এখানে আপডেট দেওয়া হবে।আশাকরি, ষষ্ঠ শ্রেনির ছাত্রছাত্রীদের আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা ভালো লাগবে ও উপকারে আসবে। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Edu হোস্টারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url