Class 7 History Chapter 1 Question Answer Wbbse
ক্লাস 7 ইতিহাস প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর | সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস প্রথম অধ্যায় "ইতিহাসের ধারণা" প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 History Chapter 1 Question Answer Wbbse
*** ইতিহাসের ধারণা ***
প্রশ্ন ও উত্তর ঃ-
১. ইতিহাস বলতে কী বোঝো ?উত্তর - ইতিহাস কথার অর্থ হল যা ইতিপূর্বে বা অতীতে ঘটে গেছে। অতীতে ঘটে যাওয়া মানুষের জীবন চর্চার ধারা আলোচনা করাই হলো ইতিহাস। আবার সব অতিথি ইতিহাসে স্থান পায় না। অতীতে ঘটে যাওয়া যেসব ঘটনা ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন তাই ইতিহাসের স্থান পায়।
৩. ইতিহাস জানা কাকে বলে ?
উত্তর - বছরের পর বছর ঘটে যাওয়া নানান ঘটনার এবং অনেক লোকের কাজকর্মের কারণ এবং তার ফলাফল বোঝার চেষ্টা করাই হলো ইতিহাস জানা।
৩.. ইতিহাস পড়া দরকার কেন বা আমরা কেন ইতিহাস পড়ি?
উত্তর - অতীতে ঘটে যাওয়া এমন অনেক ঘটনা এবং কাজ ,যার ছাপ আজও আমাদের চারপাশে রয়েছে। তাই সেসব কাজ এবং ঘটনাগুলোর বিষয়ে আমাদের ধারণা থাকা দরকার। সেই ধারণা তৈরীর জন্যই ইতিহাস পড়া দরকার হয়।
৪. ইতিহাসের উপাদান কাকে বলে ?
উত্তর -পুরনো দিনের যেসব জিনিস থেকে আমরা অতীতের কথা জানতে পারি তাই ইতিহাসের উপাদান নামে পরিচিত । যেমন- মুদ্রা লেখ, স্থাপত্য-ভাস্কর্য ও লিখিত উপাদান।
৫. ইতিহাসের উপাদান কয় প্রকার ও কি কি ?
উত্তর - ইতিহাসের উপাদান প্রধানত তিন প্রকারের -
i. সাহিত্যিক উপাদান,ii.প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান(লিপি, মুদ্রা ,স্থাপত্য ও ভাস্কর্য),iii. বৈদেশিক বিবরণ।
৬. সুলতানি বা মুঘল যুগে বিদেশি কাদের বলা হত ?
উত্তর - সুলতানি বা মুঘল যুগে বিদেশি বলতে গ্রাম বা শহরের বাইরে থেকে আসা, যে কোন লোককেই বোঝাত।
৭."পরদেশি" বা "আজনবি" বলতে কী বোঝো ?
উত্তর - সুলতানি বা মুঘল যুগে শহর থেকে অচেনা কেউ গ্রামে আসলে তাকে ঐ গ্রামবাসীরা পরদেশি বা আজনবি বলতো পরদেশি বলতে সবসময় ভারতের বাইরে থেকে আসা লোক বোঝাত না।
৮. "লেখ" বলতে কী বোঝো ?
উত্তর - পাথর বা ধাতুর পাতে লেখা থেকে পুরনো দিনের অনেক কথা জানা যায়। সেগুলিকে বলে লেখ। তামার পাতি লেখা হলে তা হয় তাম্রলেখ। আবার পাথরের উপর লেখা হলে তা হয় শিলালেখ। আর কাগজে লেখাগুলিকে বলা হয় লিখিত উপাদান।
৯. ইন্ডিয়া শব্দটি কে প্রথম ব্যবহার করেন ?
উত্তর - গ্রিক ঐতিহাসিক হেরোডোটাস প্রথম ইন্ডিয়া কথাটি ব্যবহার করেন।
১০. ঐতিহাসিকরা ইতিহাসকে কয়টি যুগে ভাগ করেছেন ?
উত্তর - ঐতিহাসিকরা ইতিহাসকে তিনটি যুগে ভাগ করেছেন। এই তিনটি যুগ হলো- প্রাচীন যুগ ,মধ্যযুগ ও আধুনিক যুগ।
১১. ভারতের লোক আলোর ব্যবহার শেখে কাদের থেকে ?
উত্তর- ভারতের লোক পোর্তুগিদদের থেকে আলু খাওয়া শেখে।
১২. হেরোডোটাস ভারত সম্পর্কে ধারণা লাভ করেন কোথা থেকে ?
উত্তর - পারসিক লেখাপত্র থেকে |
১৩. হুদুদ আল আলম হিন্দুস্তান বলতে কী বোঝাত ?
উত্তর - সমগ্র ভারতবর্ষকে।
১৪. ক্রিক বিবরণীতে ইন্ডিয়া বলতে কী বোঝাত ?
উত্তর - সমগ্র ভারত উপমহাদেশ কে।
১৫. হেরোডোটাস কোন দেশের লোক ছিলেন ?
উত্তর - হেরোডোটাস গ্রিক দেশের মানুষ ছিলেন।
সংক্ষেপে উত্তর লেখো
১. ইতিহাস পড়া দরকার হয় কেন ?
উত্তর - ইতিহাস হল মানুষের কথা। ইতিহাস পড়ে আমরা আমাদের অতীতের কথা জানতে পারি। এমন অনেক ঘটনা এবং কাজ আগে ঘটে গেছে, যার ছাপ আজও আমাদের চারপাশে রয়েছে ।তাই সেই সব কাজ ও ঘটনাগুলোর বিষয়ে আমাদের ধারণা থাকা দরকার সেই ধারণা তৈরীর জন্যই ইতিহাস পড়ার দরকার হয়।
২. ইতিহাসের উপাদান কাকে বলে ?
উত্তর - পুরনো দিনের যে সব জিনিস আজও আছে যেগুলো অতীতের কথা জানতে আমাদের সাহায্য করে তাদেরকেই বলা হয় ইতিহাসের উপাদান। ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য উপাদান গুলি হল পুরনো ঘরবাড়ি, মন্দির, মসজিদ, মূর্তি, টাকা -পয়সা ,মুদ্রা ,আঁকা ছবি ,লিপি ,বিভিন্ন লেখকের লেখা বই ইত্যাদি।
৩. টীকা লেখো
হিন্দ-হিন্দুস্তান-ইন্ডিয়া :-
উত্তর - সিন্ধু নদীর বদ্বীপ এলাকা কিছু দিনের জন্য পারসিক সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। তখন এই অঞ্চলের নাম হয় হিদুষ। ইরানি ভাষায় 'স' এর উচ্চারণ নেই ।তাই 'স' বদলে গিয়ে হয়েছিল ' হ'। ফলে সিন্ধু বিধৌত অঞ্চলগুলি হিদুষ নামে পরিচিত হয়।
এরপর বিদেশি তথ্য থেকে আর যে নামটি পাওয়া যায় তা হল ' হিন্দুস্তান'। ইরানের সাম্রাজীয় শাসকের একটি শিলালেখতে হিন্দুস্তান শব্দটি পাওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে সিন্ধু নদীর সংলগ্ন অঞ্চলকেই হিন্দুস্থান হিসেবে বোঝানো হয়েছে। হুদুদ অল আলম গ্রন্থে হিন্দুস্তান শব্দ দ্বারা সমগ্র ভারতবর্ষকে বোঝানো হয়েছে।
গ্রিক ঐতিহাসিক হেরোডোটাস ইন্ডিয়া নামটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন ।তিনি অবশ্য এ দেশে আসেননি। তিনি পারসিক লেখাপত্র থেকে ভারত সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন। গ্রিক লেখকদের বিবরণে উত্তরে হিমালয় এবং দক্ষিণে সমুদ্র। এই প্রধান দুই সীমানা সম্পর্কিত গ্রিকদের বিবরণী পড়লে বোঝা যায় ইন্ডিয়া বলতে ভারতীয় উপমহাদেশকেই বোঝানো হয়েছে।
উত্তর - ঐতিহাসিক বলতে আমারা সাধারণত বুঝি যিনি অতীত সম্বন্ধে একটা সুস্পষ্ট ধারণা আমাদের সামনে তুলে ধরেন। ঐতিহাসিকগণের কাজ হল নির্ভুল তথ্যের আলোকে একটি সুষ্ঠু ইতিহাস রচনা করা। তবে এই কাজ সবসময় সম্ভব হয় না। কেননা অতীতের ইতিহাস রচনায় সকল উপাদানের সত্যতা যথার্থ নয়। তাই ঐতিহাসিককে সব সময় সতর্ক থাকতে হয় সঠিক তথ্য সংগ্রহের জন্য। তা না হলে ভুল তথ্যের দ্বারা ইতিহাসের যথার্থতা নষ্ট হয়ে যাবে। তাই বলা চলে ঐতিহাসিক আসলে একজন গোয়েন্দা।
৫. ইতিহাসে অনেক সময়ই কেন সাধারণ মানুষ বা কারিগর ও শিল্পীদের নাম কোথাও পাওয়া যায় না ?
উত্তর - ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখলে সব সময় দেখা যায় শাসক শ্রেণীর কৃতিত্ব, নাম ,যশ ও ক্ষমতা প্রয়োগের কথা। সেখানে সাধারণ মানুষ ও তাদের জীবনযাত্রার কথা খুঁজে পাওয়া যায় না ।এর কারণ হলো শাসক শ্রেণী শিল্পী ও কারিগরদের কৃতিত্বের কাজ গুলিকে নিজের কাজ বলে মনে করতেন এবং সুনাম অর্জন করতেন।
Edu হোস্টারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url