Class VII history chapter 2 question answer

  ক্লাস VII ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর 

১। শূন্যস্থান পূরণ করো :

(ক) বঙ্গ নামের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায়________ (ঐতরেয় অরণ্যক /আইন- ই - আকবরি/অর্থশাস্ত্র)
গ্রন্থে।

উত্তর - ঐতরেয় অরণ্যক ।


(খ) প্রাচীন বাংলার সীমানা তৈরি হয়েছিল_______ , ______ এবং _________( ভাগীরথী,পদ্মা, মেঘনা/গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, সিন্ধু/কৃষ্ণা, কাবেরী, গোদাবরী) নদী দিয়ে।

উত্তর - ভাগীরথী,পদ্মা, মেঘনা ।


(গ) সকলোত্তরপথনাথ উপাধি ছিল ______ (শশাঙ্কের/হর্ষবর্ধনের/ধর্মপালের)।

উত্তর - হর্ষবর্ধনের।


(ঘ) কৈবর্ত বিদ্রোহের একজন নেতা ছিলেন______(ভীম/রামপাল/প্রথম মহীপাল)।

উত্তর - ভীম।


(ঙ) সেন রাজা________(বিজয়সেনের/বল্লালসেনের/লক্ষ্মণসেনের) আমলে বাংলায় তুর্কি আক্রমণ ঘটে ।

উত্তর - লক্ষ্মণসেনের।


(চ) সুলতানি যুগের একজন ঐতিহাসিক ছিলেন ________ (মহম্মদ ঘুরি/মিনহাজ-ই সিরাজ/ ইখতিয়ারউদ্দিন মহম্মদ বখতিয়ার খলজি।)

উত্তর - মিনহাজ-ই সিরাজ



। 'ক' স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো :

   ক- স্তম্ভ            খ- স্তম্ভ
   বজ্রভূমি         বৌদ্ধ বিহার

লো-টো-মো-চিহ্  আধুনিক চট্টগ্রাম

গঙ্গাইকোণ্ডচোল     বাক্‌পতিরাজ

গৌড়বহো              উত্তর রাঢ়

 হরিকেল           অল বিরুনি

কিতাব অল-হিন্দ.  প্রথম রাজেন্দ্র


উত্তর ---

   ক- স্তম্ভ             খ- স্তম্ভ

 বজ্রভূমি             উত্তর রাঢ়

 লো-টো-মো-চিহ্     বৌদ্ধ বিহার 

 গঙ্গাইকোণ্ডচোল   প্রথম রাজেন্দ্র
             
 গৌড়বহো        বাক্‌পতিরাজ

 হরিকেল        আধুনিক চট্টগ্রাম

 কিতাব-অল-হিন্দ   অল বিরুনি



৩। সংক্ষেপে (৩০-৫০ টি শব্দের মধ্যে) উত্তর লেখ:


(ক) এখনকার পশ্চিমবঙ্গের একটি মানচিত্র দেখো। তাতে আদি মধ্যযুগের বাংলার কোন কোন নদী দেখতে পাবে ?

উত্তর - এখনকার পশ্চিমবঙ্গের মানচিত্র অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের আদি- মধ্যযুগের নদনদী গুলি হল গঙ্গা নদী , এর শাখা নদী ভাগীরথী ও হুগলি। উত্তরাঞ্চলের নদীগুলির হল - মহানন্দা, পুনর্ভবা ,তিস্তা ,করতোয়া, আত্রাই। এছাড়াও - ময়ূরাক্ষী অজয় দামোদর রূপনারায়ন কাঁসাই এবং সুবর্ণরেখা ।



(খ) শশাঙ্কের আমলে বাংলার আর্থিক অবস্থা কেমন ছিল তা ভেবে লেখ। 

উত্তর - বাংলার রাজাদের সর্বপ্রথম সার্বভৌম রাজা হিসেবে চিহ্নিত করা হয় শশাঙ্ককে। তারা রাজত্বকালে অর্থনীতির ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটেছিল যা হিউয়েন সাং এর বিবরণী থেকে জানা যায়। শশাঙ্কের রাজধানী কর্ণসুবর্ণ ছিল গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র। শশাঙ্কের আমলে সোনার মুদ্রা প্রচলন ছিল। তার আমলে অর্থনীতি কৃষি নির্ভর ছিল। অর্থনীতি কৃষি নির্ভর হওয়ায় সমাজ ক্রমশ গ্রাম কেন্দ্রিক হয়ে পড়েছিল। তার রাজত্বের শেষের দিকে ব্যবসা বাণিজ্যে মন্দা দেখা দিয়েছিল। বণিকদের গুরুত্ব ও ক্ষমতা এ যুগে কমে এসেছিল।



(গ) মাৎস্যন্যায় কী ?

উত্তর - শশাঙ্কের মৃত্যুর পরবর্তী 100 বছর স্থায়ী শাসকের অভাবে বাংলায় এক অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলার দেখা দেয়। পুকুরের বড় মাছ যেমন ছোট মাছকে গিলে খায়, তেমনি অরাজকতার সময়ে শক্তিশালী লোক দুর্বল লোকের উপর অত্যাচার করে। সমাজের দুর্বল ও দরিদ্র লোকেদের উপর ক্ষমতাবানদের শোষণ ও লুণ্ঠনের হার বৃদ্ধি পায়। এই যুগে প্রত্যেক ক্ষত্রিয়, সম্ভ্রান্ত লোক, ব্রাহ্মণ ও বণিক ইচ্ছামত নিজের নিজের এলাকায় শাসন করতে থাকে। বাংলার ইতিহাসে এই সময়কে ঐতিহাসিকগণ মাৎস্যন্যায় বলে অভিহিত করেছেন।



(ঘ) খ্রিস্টীয় সপ্তম ও অষ্টম শতকের আঞ্চলিক রাজ্যগুলি কেমন ভাবে গড়ে উঠেছিল ?

উত্তর - খ্রিস্টীয় সপ্তম ও অষ্টম শতকে বাংলার বাইরে বেশকিছু নতুন আঞ্চলিক রাজ্যের উদ্ভব ঘটে। যাদের মধ্যে অন্যতম ছিল উত্তর ভারতের পাল,গুরজার- প্রতিহার এবং দক্ষিণ ভারতের রাষ্ট্রকূট বংশ। এই নতুন রাজবংশ গুলি স্থানীয় শক্তিশালী ব্যক্তিদের উপস্থিতি মেনে নিয়েছিল। বড় বড় জমির মালিকদের  সামন্ত, মহাসামন্ত ইত্যাদি উপাধি দেওয়া হত। তার বদলে এরা রাজা বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে খাজনা ও উপঢৌকন দিত। প্রয়োজনে রাজার ডাকে শূন্য নিয়ে যুদ্ধে হাজির হতো কখনো আবার এদের মধ্যে কেউ কেউ রাজার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে স্বাধীনভাবে নিজেদের অঞ্চল শাসন করতে শুরু করেছিল। 



(ঙ) সেন রাজাদের আদি নিবাস কোথায় ছিল? কিভাবে তারা বাংলায় শাসন কায়েম করেছিলেন ? 

উত্তর - সেন রাজাদের আদি নিবাস ছিল দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক অঞ্চল অর্থাৎ মহীশূর এবং তার আশেপাশের এলাকায়। 
একাদশ শতকের কোন এক সময় সামন্ত সেন কর্নাটক থেকে রার অঞ্চলে এসে সেন বংশের প্রতিষ্ঠা করেন। সামন্ত সেনের পুত্র হেমন্ত সেন পাল রাজাদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে একটি স্বাধীন রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীকালে হেমন্ত সেনের ছেলে বিজয় সেন রাঢ়, গৌড়, পূর্ববঙ্গ এবং মিথিলা জয় করে সেন রাজ্যের পরিধি বাড়িয়েছিলেন। পরবর্তী শাসক বল্লাল সেন পাল রাজা গোবিন্দ পাল কে পরাস্ত করেছিলেন। এভাবে বল্লাল সেন পাল রাজত্বের উপর চূড়ান্ত আঘাত করে। 


(চ) সুলতান মাহমুদ ভারত থেকে লুট করা ধন সম্পদ কিভাবে ব্যবহার করেছিলেন ? 

উত্তর - সুলতান মাহমুদ ভারতের ইতিহাসে একজন আক্রমণকারী হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছেন। কিন্তু তিনি ভারত থেকে যে প্রচুর সম্পদ লুট করেছেন তা নিজের রাজ্যে অনেক ভালো কাজে ব্যয় করেছেন। 
তার আমলে রাজধানী গজনি এবং অন্যান্য শহরকে সুন্দর করে সাজানো হয়েছিল। মাহমুদ সেখানে প্রাসাদ, মসজিদ, গ্রন্থাগার, বাগিচা,জলাধার,খাল এবং আমুদরিয়ার ওপর বাঁধ নির্মাণ করেন। তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেন যেখানে শিক্ষকদের বেতন ও ছাত্রদের ভিত্তি দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল।


৪। বিশদে উত্তর লেখ :

(ক) প্রাচীন বাংলার রাঢ় - ‌সুহ্ম এবং গৌড় অঞ্চলের ভৌগোলিক পরিচয় দাও

উত্তর - প্রাচীন বাংলার জনপদ গুলির মধ্যে অন্যতম জনপদ রাঢ় - ‌সুহ্ম ও গৌড় ছিল অন্যতম। 

রাঢ় - ‌সুহ্ম - প্রাচীন রাঢ়  অঞ্চলের দুটি ভাগ ছিল। উত্তর রাঢ় এবং দক্ষিণ রাঢ় । জৈনদের প্রাচীন ঐতিহ্য অনুসারে উত্তর রাঢ় ছিল বজ্জভূমি এবং দক্ষিণ রাঢ় ছিল সুবভভূমি বা সুহ্মভূমি এলাকা। উত্তর ও দক্ষিণ রাঢ়ের মাঝের সীমানা ছিল অজয় নদ। আজকের মুর্শিদাবাদ জেলার পশ্চিমভাগ, বীরভূম জেলা, সাঁওতাল পরগনার একাংশ এবং বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমার উত্তর ভাগ ছিল উত্তর রাঢ় অঞ্চল। দক্ষিণ রাঢ় ছিল আজকের হাওড়া, হুগলি ও বর্ধমান জেলার বাকি অংশকে বোঝায়।


গৌড় - প্রাচীন এবং মধ্যযুগের বাংলায় গৌড় ছিল গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। গৌড় বলতে একটি জনগোষ্ঠীকে বোঝানো হতো। বরাহমিহিরের রচনা অনুযায়ী মুর্শিদাবাদ বীরভূম এবং বর্ধমান জেলার পশ্চিমভাগ নিয়ে তৈরি হয়েছিল সেকালের গৌড়। রাজা শশাঙ্কের আমলে গৌড়ের সীমা বেড়ে গিয়েছিল। শশাঙ্কের রাজধানী ছিল কর্ণসুবর্ণ। ভাগীরথীর পশ্চিম পাড়ে আজকের মুর্শিদাবাদ জেলায় সেকালের গৌড়ের প্রধান এলাকা ছিল। শশাঙ্কের আমলে পুণ্ড্রবর্ধন (উত্তরবঙ্গ) থেকে উড়িষ্যার উপকূল পর্যন্ত এলাকা গৌড়ের অন্তর্গত ছিল।
 

(খ) ত্রিশক্তি সংগ্রাম কাদের মধ্যে হয়েছিল ?এই সংগ্রামের মূল কারণ কি ছিল ?

উত্তর - হর্ষবর্ধনের মৃত্যুর পরে আর্যাবর্তের রাজনৈতিক কেন্দ্র বিন্দু কনৌজের উপর আধিপত্য স্থাপনের উদ্দেশ্যে মালবের গুর্জর-প্রতিহার, দক্ষিণ ভারতের রাষ্ট্রকূট ও বাংলার পাল বংশের মধ্যে এক প্রবল ত্রিশক্তি সংগ্রাম হয়েছিল এই সংগ্রাম প্রায় ২০০ বছর ধরে চলেছিল।

কারণ- অষ্টম নবম শতকে কনজের রাজনৈতিক গুরুত্ব অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। এই কনজের উপর কর্তৃত্ব দখলের আশঙ্কায় শক্তিশালী তিন শক্তি গুর্জর প্রতিহার, রাষ্ট্রকূট ও পালদের মধ্যে ত্রিশক্তি সংগ্রামের সূচনা হয়। এই সংগ্রামের মূল কারণ ছিল- যেকোনো নিয়ন্ত্রণ করবে সেই গাঙ্গে উপত্যকার দখলের রাখতে পারবে। এই অঞ্চলের নদীভিত্তিক বাণিজ্য ও খনিজ দ্রব্য ছিল অর্থনৈতিক দিক থেকে লোভনীয়। এই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে কোন শেষ পর্যন্ত কে দখলে করবে, এই নিয়ে পাল, গুর্জর প্রতিহার ও রাষ্ট্রকূট বংশের মধ্যে টানা লড়াই চলেছিল যা ইতিহাসে ত্রিশক্তি সংগ্রাম নামে পরিচিত।


অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর 

১. কৌটিল্যের লেখা গ্রন্থের নাম কি? 

উত্তর - অর্থশাস্ত্র। 


২. কালিদাসের কোন কাব্যে বঙ্গ ও সুহ্ম নাম দুটি উল্লেখ পাওয়া যায়? 

উত্তর - রঘুবংশম কাব্যে। 


৩. আইন - ই- আকবরি গ্রন্থের রচয়িতা কে? 

উত্তর - আবুল ফজল। 


৪. কোন গ্রন্থে সুবা বাংলার উল্লেখ রয়েছে ?

উত্তর - আইন- ই- আকবরি


৫. সুবা কথার অর্থ কি ?

উত্তর - প্রদেশ বা রাজ্য। 


৬. ইউরোপীয় ভ্রমণকারী ও বণিকরা বাংলার কি নাম দিয়েছিল ? 

উত্তর - বেঙ্গালা।


৭. বাংলা সীমানা প্রধানত কোন তিনটি নদী দিয়ে তৈরি হয়েছিল ?
  
উত্তর - ভাগীরথী পদ্মা ও মেঘনা।
 

৮. প্রাচীন বাংলার প্রধান অঞ্চলগুলি কি কি ছিল ?

উত্তর - বঙ্গ ,বাঙ্গাল, রাঢ়, সমতট, হরিকেল প্রভৃতি।


৯. শশাঙ্কের রাজধানীর নাম কি ছিল ? 

উত্তর - কর্ণসুবর্ণ। 


১০. কর্ণসুবর্ণের বর্তমান নাম কি ?

উত্তর - মুর্শিদাবাদ জেলার চিরুটি। 


১১. চীনা ভাষায় বৌদ্ধ বিহারের নাম কি ?

উত্তর -লো-টু-মো-চিহ।


১২. ভাস্করবর্মা কে ছিলেন ?

উত্তর - কামরূপের রাজা ছিলেন।


১৩. সকলোত্তরপথনাথ উপাধি কে ধারণ করেন ?

উত্তর - হর্ষবর্ধন।


১৪. হর্ষবর্ধনের সভাকবি কে ছিলেন? 

উত্তর - বানভট্ট। 



১৫. হর্ষচরিত কার লেখা ? 

উত্তর - বানভট্টের। 


১৬. পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ? 

উত্তর - গোপাল। 



১৭. রামচরিত কাব্য কার রচনা? 

উত্তর - সন্ধ্যাকর নন্দীর। 



১৮. কৈবর্ত বিদ্রোহের তিনজন নেতার নাম লেখ ? 

উত্তর - দিব্য, রিদোক এবং ভীম।



১৯. লক্ষণ সেনের রাজধানীর নাম কি? 

উত্তর - বিক্রমপুর। 



২০. ত্রিশক্তি সংগ্রামে যুক্ত তিনশক্তির নাম কি ? 

উত্তর - গুর্জর প্রতিহার, রাষ্ট্রকূট ও পালবংশ।


২১. গঙ্গাইকুন্ডচোল কার উপাধি ছিল ? 

উত্তর - প্রথম রাজেন্দ্র। 


২২. আরবের যাযাবর মানুষদের কি বলা হত ?
 
উত্তর - বেদুইন। 


২৩. সুলতান মাহমুদ কতবার ভারত আক্রমণ করে ? 

উত্তর - ১৭ বার।


২৪. তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধ কত সালে ?কাদের মধ্যে হয় ? 

উত্তর - ১১৯২ খ্রিস্টাব্দে। মোহাম্মদ ঘুরি ও তৃতীয় পৃথ্বীরাজ চৌহানের মধ্যে হয়।


২৫. গৌড়বাহ কাব্যের রচয়িতা কে ?

উত্তর - বাকপতিরাজ।


২৬. পাল বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা কে ? 

উত্তর - ধর্মপাল। 


২৭. রাষ্ট্রকূট বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ? 

উত্তর - দন্তিদুর্গ।


২৮. হিজরত কি?

উত্তর - হযরত মুহাম্মদ এবং তার অনুগামীরা ৬৬২ খ্রিস্টাব্দে মক্কা ছেড়ে মদিনায় চলে আসে যাকে হিজরত বলা হয়। 


২৯. খলিফা শব্দের অর্থ কি? 

উত্তর - প্রতিনিধি বা উত্তরাধিকারী। 


৩০. প্রথম খলিফা কে ছিলেন ? 

উত্তর - আবুবক্কর 


৩১. গৌড়বহো সম্পর্কে লেখ ?

উত্তর - কোন যে শাসক যশো বর্মা বা যশো বর্মনের সভাকবি বাকপতিরাজ গৌড়বহো কাব্যটি প্রাকৃত ভাষায় রচনা করেন। গৌড়বহো কাব্যটিতে যশোবর্মন কর্তৃক মগধরাজকে পরাজিত করার কাহিনী বর্ণিত আছে।


৩৩. কৈবর্ত বিদ্রোহ কি ? 

উত্তর - পাল রাজা দ্বিতীয় মহিপালের আমলে বরেন্দ্র ভূমির সামন্ত রাজারা মহিপালের দুর্বলতার সুযোগে দিব্যকের  নেতৃত্বে বিদ্রোহ ঘোষণা করে বরেন্দ্র অঞ্চলটি দখল করে নেয়। বিদ্রোহের নায়ক দিব্য ছিলেন একজন জেলে বা কৈবর্ত সম্প্রদায়ের মানুষ। তাই এই বিদ্রোহ কৈবর্ত বিদ্রোহ নামে পরিচিত। এই বিদ্রোহ দমন করতে গিয়ে মহিপাল নিহত হন। পরবর্তীকালে পাল রাজা রামপাল বরেন্দ্র পুনরুদ্ধার করেন। 


৩৪. খলিফা ও খিলাফত বলতে কী বোঝো ? 

উত্তর - মোহাম্মদের পর ইসলাম জগতের নেতৃত্ব কে দেবেন তা নিয়ে প্রশ্ন হয়ে ওঠে। তখন মোহাম্মদের প্রধান চার সঙ্গীরা একে একে মুসলমানদের নেতা নির্বাচিত হন। এদের বলা হয় খলিফা। খলিফা শব্দটা আরবি যার অর্থ হল প্রতিনিধি বা উত্তরাধিকারী। প্রথম খলিফা ছিলেন আবু বকর। খলিফাই হলেন ইসলামীয় জগতের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতা। যেসব অঞ্চলে ইসলাম ধর্মের ক্ষমতা ছড়িয়ে পড়েছে সেগুলিকে দার- উল - ইসলাম বলা হয় খলিফা এই পুরো দার-উল- ইসলামের প্রধান নেতা তার অধিকারের অঞ্চলের নাম খিলাফৎ।


৩৫. লেখা বই এর নাম কি? 

উত্তর - কিতাব- অল-হিন্দ ।



শেষ কথা ঃ-

এই পোস্টে সপ্তম শ্রেনির ইতিহাস দ্বিতীয় আধ্যায় এর আনুশীলনী ও অন্যান্য প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করা হলো। পরবর্তী সময়ে আরও পরীক্ষায় আসার মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর আপডেট দেওয়া হবে 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Edu হোস্টারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url