Class XI Semester 2 Computer Application Chapter 8 Question Answer Wbchse
একাদশ শ্রেণী দ্বিতীয় সেমিস্টার কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন অষ্টম অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর। Class xi Semester 2 Computer Application Chapter 8 Wbchse question answer |Class XI Semester 2 Cyber Crime and Cyber Safety Wbchse Question Answer
একাদশ শ্রেণী দ্বিতীয় সেমিস্টার কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন অষ্টম অধ্যায় সাইবার ক্রাইম ও সাইবার নিরাপত্তা প্রশ্ন ও উত্তর
-: সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :-
উত্তর - সাইবার ক্রাইম হলো কম্পিউটার জগতের এক ধরনের অপরাধমূলক কাজ। যখন অপরাধী নিজের পরিচয় গোপন করে কোন ব্যক্তির বা সংস্থার কম্পিউটারের ক্ষতি করার চেষ্টা করে তাকেই সাইবার ক্রাইম বলা হয়।
২. সাইবার ক্রাইম বৃদ্ধির দুটি মূল কারণ উল্লেখ কর।
উত্তর - সাইবার ক্রাইম বৃদ্ধির দুটি মূল কারণ হলো-
i. সারা বিশ্বে নতুন নতুন প্রযুক্তির বিকাশের ফলে কম্পিউটার মোবাইল ইত্যাদি ডিভাইস নতুন নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে কিন্তু এই প্রযুক্তি গুলিকে রক্ষা করার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই।
ii. সঠিক সচেতনতার অভাব এই অপরাধ বারার আরেকটি কারণ।
iii. আর্থিক অনুপ্রেরণা সাইবার অপরাধ বৃদ্ধির আরেকটি অন্যতম কারণ।
৩. ওয়েব জ্যাকিং কি ?
উত্তর - কোন সরকারি বা বেসরকারি সংস্থার ওয়েবসাইটকে হুবহু নকল করে তা থেকে বিভিন্ন প্রকার সুবিধা আদায় করা যেমন সরকারি ভূগোল চাকরির বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ফর্ম ফিলাপ করিয়ে অর্থ উপার্জন বা পরীক্ষার ফি বাবদ অর্থ আদায় ইত্যাদি ওয়েব জ্যেকিং নামে পরিচিত।
৪. হ্যাকিং কি? হ্যাকার কাদের বলে ? HACKER এর পূর্ণরূপ কি ?
উত্তর - হ্যাকিং হলো একটি কম্পিউটারে অনুমোদিত অ্যাক্সেস করে ডিজিটাল ডিভাইস ও ডেটার ক্ষতিসাধন, তথ্য সংগ্রহ করা, ডেটা বা নথি চুরি করা।
হ্যাকার:- অনুমতি ব্যতীত অন্যের সার্ভারে প্রবেশ করে ডিভাইস ও যন্ত্রের ক্ষতি সাধন করাকেই হ্যাকিং বলে। যিনি এই কাজটি করে থাকেন তাকেই হ্যাকার বলা হয়।
HACKER এর পূর্ণরূপ হলো -
H- Hide IP
A- Aim Victim
C- Crack Encrypt
K- Kill Firewall
E- Enter into Data base
R- Return Anonymos.
৫. প্রকৃতি অনুসারে হ্যাকারকে কয় ভাগে ভাগ করা যায় ও কি কি ?
উত্তর - প্রকৃতি অনুসারে হ্যাকারকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়।
ক) হোয়াইট হ্যাট বা এথিক্যাল হ্যাকার
খ) ব্ল্যাক হ্যাট বা আন - এথিক্যাল হ্যাকার
গ) গ্রে - হ্যাট হ্যাকার
৬. হোয়াইট হ্যাট ও ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারের পার্থক্য কি ?
উত্তর - হোয়াইট হ্যাট হ্যাকারদের উদ্দেশ্য ভালো হয়। এরা কারো ক্ষতি করে না। অন্যদিকে, ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকাদের উদ্দেশ্য সবসময় খারাপ হয়ে থাকে। এরা মানুষের ক্ষতি সাধন করে।
৭. ইভসড্রপিং কি ? দুটি ইভসড্রপিং ড্রপিং পদ্ধতির নাম লেখ।
উত্তর - ইভসড্রপিং হল একটি গোপন ইলেকট্রনিক আক্রমণ যেখানে আক্রমণকারী সম্মতি ছাড়াই একটি নেটওয়ার্ক এ ঢুকিয়ে গোপনে দুই পক্ষের কথোপকথন শুনে অথবা তাদের মধ্যে যোগাযোগে বাধা দেয়।
দুটি ইভসড্রপিং ড্রপিং পদ্ধতি হলো - ফোন ট্যাপিং,
নেটওয়ার্ক ইভসড্রপিং।
৮. ফোন ট্যাপিং কি ?
উত্তর - যখন দুজন ব্যক্তি কথা ফোনে বলে তখন মোবাইল বা ল্যান্ডফোনের এই কথোপকথন গোপনে শোনা হয়। একেই ফোন ট্যাপিং বলে।
৯. ফিশিং বলতে কী বোঝো ? ফিশিং কয় প্রকার ও কি কি ?
উত্তর - কোন ব্যক্তি অসাধু উদ্দেশ্যে একটি বিশ্বাসযোগ্য উৎস থেকে ইমেইল, মেসেজ , লিংক আমাদের ফোনে বা কম্পিউটারে পাঠিয়ে দেয় অথবা ফোনে আমাদের পরিচিত হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়ে ব্যক্তিগত তথ্য ক্রেডিট কার্ড,ডেবিট কার্ড, ইমেইল, পাসওয়ার্ড ইত্যাদি জেনে নেওয়ার প্রচেষ্টা করে। একেই ফিশিং বলা হয়।
ফিশিং পাঁচ ধরনের হয়।
উদাহরন- I. স্পিয়ার ফিশিং অ্যাটাক , ii. ওয়েলিং ফিশিং অ্যাটাক, iii. ভিশিং ফিশিং অ্যাটাক, iv. স্মিশিং ফিশিং অ্যাটাক, v. ইমেইল ফিশিং।
১০. ই-মেইল ফিশিং বা ই-মেইল জালিয়াতি কি ?
উত্তর - সব থেকে প্রচলিত ফিশিং এটাক হল ইমেইলের মাধ্যমে মানুষকে প্রতারিত করা। ইমেইলের মাধ্যমে মানুষকে বিভিন্ন রকম লোক দেখিয়ে আর্থিক প্রলোভন অথবা ভয় দেখিয়ে তার বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য পেয়ে যায়। ফলে সে ব্যবহারকারী বিভিন্ন রকম ক্ষতিসতো সাধন করতে পারে।
১১. E-mail ফিশিং থেকে সুরক্ষিত থাকার উপায় কি ?
উত্তর - ইমেইল ফিশিং থেকে সুরক্ষিত থাকার উপায় গুলি হলো-
ক) নিজের ইউজারনেম পাসওয়ার্ড অন্য কোন ব্যক্তির সাথে শেয়ার না করা।
খ) ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের ও অন্যান্য ডিটেলস শেয়ার না করা।
গ) নিজের ব্যক্তিগত ডেটা কারো সাথে শেয়ার করা চলবে না।
ঘ) ইমেইল প্রেরকের নাম যাচাই করতে হবে।
১২. র্যানসমওয়্যার কি? কয়েকটি র্যানসমওয়্যারের নাম লেখ? র্যানসমওয়্যার থেকে সুরক্ষিত থাকার উপায় কি ?
উত্তর - র্যানসমওয়্যার এক ধরনের ক্ষতিকারক সফটওয়্যার যা আমাদের কম্পিউটার সিস্টেম বা নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে বাধা দেয় এবং তা ফেরত পাওয়ার জন্য মুক্তিপণ দাবি করে। হ্যাকাররা কম্পিউটার সিস্টেমের অনস্ক্রিনে একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়। যাতে লেখা থাকে, নেটওয়ার্কের ডেটা এনক্রিপ্ট করা হয়েছে মুক্তিপণ পরিশোধ না করা পর্যন্ত এটি ব্যবহার করা যাবে না।
র্যানসমওয়্যারের উদাহরন:- Bad Rabbit,Dharma,Locky, Maze ইত্যাদি।
র্যানসমওয়্যার থেকে সুরক্ষিত থাকার উপায় :-
i. নিয়মিত সফটওয়্যারগুলি আপডেট করতে হবে
ii. শক্তিশালী এন্টিভাইরাস ব্যবহার করতে হবে।
iii. কখন কোথায় সাহায্য চাইতে হবে সেই সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
১৩. সাইবার ট্রোলিং কি ? কয়েকটি সাইবার ট্রোলিং এর নাম লেখ। সাইবার ট্রোলিং প্রতিরোধ করার দুটি পদ্ধতি লেখ।
উত্তর- সাইবার ট্রোলিং হল কোন সামাজিক মাধ্যম (ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম) এ কারো সম্পর্কে কোন অপমানজনক মন্তব্যকরা ,ব্যাঙ্গাত্মক পোস্ট বা হুমকি দেওয়া। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্তের ওপর মানসিক যন্ত্রণা, উদ্বেগ, বিষন্নতা ইত্যাদি প্রভাব পড়ে। সাইবার ট্রলের মধ্যে অনলাইন ঘৃণা, ব্যক্তিগত বা জাতিগত আক্রমণ, সংস্কৃতি, ধর্ম, লিঙ্গ বা যেকোনো অক্ষমতার কারণ লক্ষ্য করা যায়।
কয়েকটি সাইবার ট্রোলিং এর নাম হলো - ক্লাসিক ট্রল, ফ্লেম ট্রল , রাজনৈতিক ট্রল ইত্যাদি।
সাইবার ট্রোলিং প্রতিরোধ করার পদ্ধতি -
A) সবসময় সামাজিক মাধ্যমে বিতর্ক এড়িয়ে চলতে হবে। ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার সময় সতর্ক থাকতে হবে।
B) নিয়মিত কুকিজ পরিষ্কার করতে হবে।
১৪. আমাদের আইডেন্টিটি প্রটেকশন বা সুরক্ষিত রাখার উপায় কি ?
উত্তর - আমাদের আইডেন্টিটি প্রটেকশন বা সুরক্ষিত রাখার উপায় -
A) প্রতিটি অ্যাকাউন্টে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।
B) প্রতিটি অনলাইন অ্যাকাউন্টে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন চালু করতে হবে।
C) পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করার সময় অবশ্যই ভিপিএন ব্যবহার করা উচিৎ।
D) নিয়মিতভাবে কুকিজ পরিষ্কার করতে হবে।
১৫. সাইবার নিরাপত্তা (Cyber Safety) কি ?
উত্তর - সাইবার নিরাপত্তা হল কম্পিউটার মোবাইল নেটওয়ার্ক ও সার্ভারের গোপনীয় তথ্য এবং কম্পিউটারের সফটওয়্যারকে ক্ষতিকারক আক্রমণ থেকে বাঁচানোর একটি সুরক্ষা ব্যবস্থা।
১৬. সাইবার স্টকিং কাকে বলে ?
উত্তর - সাইবার স্টকিং হলো ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে কারো উপর নজরদারি করা বা হয়রানি করা, মিথ্যে পোস্ট করা এবং অবশেষে হুমকি দেওয়া।
১৭. রোস্টিং বলতে কী বোঝো ?
উত্তর - রোস্টিং বলতে সামাজিক মাধ্যমে কোন ব্যক্তির উপর ব্যক্তিগত বা সরাসরি আক্রমণ করাকে বোঝায় এক্ষেত্রে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে ভয় দেখানো হয়
১৮. সাইবার বুলিং কি ?
উত্তর - সাইবের বুলিং এক ধরনের হুমকি যেখানে আক্রমণকারী মোবাইল,কম্পিউটার ইত্যাদি ব্যবহার করে টেক্সট মেসেজ, ছবি, ভিডিও, ইমেইলের মাধ্যমে কাউকে আক্রমণ করে। এর ফলে মানসিক বিষন্নতাও আত্মসম্মান হননের ভয় থাকে।
১৯. ফোন ট্যাপিং কি ?
উত্তর - যখন দুজন ব্যক্তি ফোনে কথা বলে তখন ফোন ট্যাপিং এর মাধ্যমে মোবাইল বা ল্যান্ডফোনের এই কথোপকথন গোপনে শোনা হয়।
২0. RASS বলতে কি বোঝ ?
উত্তর - এটি একটি র্যানসমওয়ার পরিষেবা। যেখানে প্রোগ্রামাররা বিভিন্ন র্যানসমওয়ার সফটওয়্যার তৈরি করে এবং আক্রমণকারীরা তাদের থেকে এই সফটওয়্যারগুলি অর্থের বিনিময়ে কিনে তা দিয়ে বিভিন্ন র্যানসমওয়ার আক্রমণ চালায়।
২১. হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার ও ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারের পার্থক্য লেখো।
উত্তর -
হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার | ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার |
---|---|
i) এদের উদ্দেশ্য সব সময় ভালো হয়। | i) এদের উদ্দেশ্য সব সময় ক্ষতিকারক ও খারাপ হয়। |
ii) এই ধরনের হ্যাকাররা সর্বদা ব্যবহারকারীর অনুমতি নিয়ে তার সিস্টেমে প্রবেশ করে। | ii) এই ধরনের হ্যাকাররা অনুমতি না নিয়ে গোপনে সিস্টেমে প্রবেশ করে। |
iii) এই হ্যাকাররা সিস্টেমের দুর্বলতা খুঁজে বার করে এবং ব্যবহারকারীর অনুমতি নিয়ে সেটিকে সংশোধন করে। | iii) এই হ্যাকাররা ব্যবহারকারীর অনুমতি না নিয়ে তথ্য চুরি ব্ল্যাকমেলিং সহ বিভিন্ন প্রকার খারাপ কাজ করে থাকে। |
২২. সাইবার ট্রোল ও সাইবার বুলিং এর মধ্যে পার্থক্য লেখ।
উত্তর -
সাইবার ট্রোল | সাইবার বুলিং |
---|---|
i) সাইবার ট্রোল হলো সামাজিক মাধ্যমে কারো সম্পর্কে অপমানজনক মন্তব্য ও ব্যাঙ্গাত্মক উক্তি করা। | i) সাইবার বুলিং হলো টেক্সট মেসেজ, ছবি, ভিডিও ও ইমেইলের মাধ্যমে হুমকি দেওয়া। |
ii) সাইবার ট্রোল মূলত ফেসবুক পোস্ট, ব্লগ ,ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউব ভিডিও ইত্যাদির মাধ্যমে করা হয়। | ii) সাইবার বুলিং মূলত মেসেজ, ইমেইল, ছবি, ভিডিও, ফেসবুক ইত্যাদির মাধ্যমে করা হয়। |
iii) এই ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও জাতিগত আক্রমণ করা হয়। | iii) এই ক্ষেত্রে হুমকি, মানসিক আঘাত ও ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করা হয়। |
Edu হোস্টারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url