Class xi computer application chapter 9 Wbchse question answer
একাদশ শ্রেণি দ্বিতীয় সেমিস্টার মডার্ন কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন নবম অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর | Class xi computer application chapter 9 Wbchse question answer
Class XI
Modern computer application
সংক্ষেপে উত্তর দাও
উত্তর - ম্যালওয়্যার হল এক ধরনের ক্ষতিকারক সফটওয়্যার যা ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই সিস্টেমে প্রবেশ করে তথ্য চুরি এবং কম্পিউটারকে ধ্বংস করে।
ম্যালওয়্যারের উদাহরণ হল- ভাইরাস, ট্রোজন ,স্পাইওয়্যার, রুটকিটস, ওয়ার্ম ইত্যাদি।
২. ম্যালওয়্যার ছড়ানোর কয়েকটি উপায়ের নাম লেখ।
উত্তর - ম্যালওয়্যার বিভিন্নভাবে সাইবার অপরাধীরা কম্পিউটারে প্রবেশ করায় যেমন ইমেইল সংযুক্তি, সফটওয়্যার ডাউনলোড, প্রলোভনমূলকবার্তা, ফিশিং ইত্যাদি।
৩. ভাইরাস কি? এর সম্পূর্ণ নাম লেখ? কয়েকটি ক্ষতিকারক ভাইরাসের নাম লেখ?
উত্তর - ভাইরাস হল এক প্রকার ক্ষতিকারক সফটওয়্যার যা কম্পিউটারের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে কম্পিউটারের ডেটা ও সফটওয়্যার এর ক্ষতি করে।
VIRUS এর পূর্ণরূপ হল ভাইটাল ইনফরমেশন রিসোর্সেস আন্ডারসেস।
কয়েকটি ক্ষতিকারক ভাইরাস হলো ওয়ার্ম, স্টার্কনেট, ক্রিপ্টো লকার ইত্যাদি।
৪. প্রথম ভাইরাসের নাম কি? এটি কত সালে কে আবিষ্কার করেন?
উত্তর - প্রথম ভাইরাসের নাম হলো ক্রিপার। এটি 1971 সালে বব থমাস আবিষ্কার করেন।
৫. বুট সেক্টর ভাইরাস এর কাজ কি? প্রথম বুট সেক্টর ভাইরাস এর নাম কি? FAT ভাইরাস কিভাবে ক্ষতি করে?
উত্তর - গুড সেক্টর ভাইরাস বুট সেক্টর এরিয়ায় আক্রমণ চালায় ও কম্পিউটার কে বুটিং এ বাধা দেয় এর ফলে কম্পিউটারে অপারেটিং সিস্টেম লোড হতে পারে না তাই ডিসপ্লেতে কোন আলো আসে না।
প্রথম বুট সেক্টর ভাইরাস হল সি ব্রেন ভাইরাস।
FAT ভাইরাস কম্পিউটারের হার্ডডিক্সের ডাটা সিস্টেমের AT ফাইল অর্থাৎ Total Storage Capacity, Available Space , Used Space ইত্যাদি ফাইলকে আক্রমণ করে।
৬. ট্রোজান হর্স কি? ট্রোজান ভাইরাসের চারটি প্রকারভেদের নাম লেখ।
উত্তর - ট্রোজান হর্স হল ম্যালওয়ারের একটি প্রকারভেদ। ট্রোজান হর্স হল এক ধরনের ম্যালওয়্যার যা কম্পিউটারে একটি বৈধ প্রোগ্রামের ছদ্মবেশে ডাউনলোড হয় এবং ব্যবহারকারীর ডেটা চুরি করে এবং বিভিন্নভাবে কম্পিউটারের ক্ষতিসাধন করে।
ট্রোজান ভাইরাসের চারটি প্রকার হলো- ব্যাকডোর ট্রোজান, স্পাই ট্রোজান, ডাউনলোড ট্রোজান, DDOS ট্রোজান ইত্যাদি।
৭. স্পাই ট্রোজান এর কাজ কি?
উত্তর - স্পাই ট্রোজেনের কাজ হল কম্পিউটারের ভেতরে থেকে ব্যবহারকারীর কাজ লুকিয়ে লুকিয়ে লক্ষ্য করা যেমন - তাদের কিবোর্ড অ্যাকশন গুলি লক্ষ্য করা, স্ক্রিনশট নেওয়া, লগইন ডেটাকে ট্র্যাক করা ইত্যাদি।
৮. অ্যাডওয়ার কি?
উত্তর - অ্যাডওয়ার হল এক ধরনের মেলায় আর যা আমাদের নেটওয়ার্ক সিস্টেমে অবস্থিত বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে। কম্পিউটারে অ্যাডওয়ার সংক্রমণ হলে কম্পিউটার ডিভাইস ও নেটওয়ার্ক সিস্টেম ধীর গতি হয়ে যায়। ওয়েবপেজ গুলি সঠিকভাবে প্রদর্শিত হয় না। ইন্টারনেটের গতি কমে যায়। অনেক অবাঞ্ছিত বিজ্ঞাপন পপ আপ, ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যায়, অপ্রয়োজনীয় গেম নিজে থেকে ডাউনলোড হয় ইত্যাদি লক্ষণগুলি দেখা যায়।
৯. E- Wase ম্যানেজমেন্ট কি? কয়েকটি ই- বর্জ্যের লেখ।
উত্তর - E- wase বা ইলেকট্রনিক বর্জ্য বলতে ফেলে দেওয়া বৈদ্যুতিক ডিভাইসগুলিকে বোঝায়। ইলেকট্রনিক বর্জ্যের সাধারণ উৎস গুলির মধ্যে রয়েছে টেলিভিশন,কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, এয়ার কন্ডিশনার, শিশুদের ইলেকট্রনিক্স খেলনা, মিক্সার, গ্রাইন্ডার ,মাইক্রোওভেন, ফ্রিজ ইত্যাদি সমস্ত রকম গৃহস্থলীর সামগ্রীয় যেগুলি আর বর্তমানে ব্যবহার করা হয় না। কি বর্জে সিসা পারদ সহ একাধিক ক্ষতিকারক নিউরোটক্সিকান্ট রয়েছে যা গর্ভাবস্থায় শৈশব কৈশোর কালে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশ কে ব্যাহত করে। প্রচুর পরিমাণে ই বর্জ্য যদি আমরা এক জায়গায় জমা করে রাখি তা থেকে মাটি বায়ু এবং জল দূষিত হবে। কি বজ্জ্য থেকে বিভিন্ন ক্ষতিকারক পদার্থ নির্গত হয় যা আমাদের ফুসফুসের পক্ষে ক্ষতিকারক।
১০. LED আলো কিভাবে ইলেকট্রনিক বর্জ্য তৈরি করে? ই- বর্জ্য দ্রুত নিষ্পত্তি করার কয়েকটি পদ্ধতি লেখ।
উত্তর - বর্তমানে গৃহস্থালী থেকে সুপারমার্কেট, দোকান শপিংমল, পূজা,প্যান্ডেল, হোডিং প্রায় সব ক্ষেত্রেই LED আলো ব্যবহার করা হয়। এদের বেশিরভাগটাই একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর খারাপ হয়ে বিপুল পরিমাণ ই-বর্জ্য তৈরি করে।
ই-বজ্র দ্রুত নিষ্পত্তি করার কয়েকটি পদ্ধতি হলো -
ল্যান্ডফিলিং- এই পদ্ধতিতে মাটিতে একটি বিশাল গর্ত করে তার মধ্যে সমস্ত রকম ইলেকট্রনিক বর্জ্য ভরাট করে শেষে মাটি দ্বারা ঢেকে দেওয়া হয়। তবে এক্ষেত্রে ই বজ্রে থাকা বিষাক্ত পদার্থ যেমন ক্যাটবিয়াম,সিসা, পারদ ইত্যাদি মাটি এবং ভূগর্ভস্থ জলের সাথে মিশে দূষণ ঘটায়।
অ্যাসিডস্ন্যান - এই পদ্ধতিতে সালফিউরিক অ্যাসিড, হাইড্রোক্লোরিক বা নাইট্রিক অ্যাসিড দ্রবণে ইলেকট্রনিক সার্কিটকে ভিজিয়ে রাখলে তা থেকে প্লাস্টিক গলে গিয়ে ধাতুগুলিকে আলাদা করে এবং সেখান থেকে কাচ,সার্কিট বোর্ডের মত উপাদান গুলিকেও আলাদা করে নেওয়া যায় যা থেকে নতুন ইলেকট্রনিক দ্রব্য তৈরিতে পুনরায় ব্যবহার করা যায়।
পুড়িয়ে ফেলা - ই বজ্রের দুটো নিষ্পত্তির জন্য একটি সহজ উপায় হল পুড়িয়ে ফেলা। উচ্চ তাপমাত্রায় পোড়ালে তার দাহ্য অংশগুলি ভেঙে যায় ও তার দ্রুত নিষ্পত্তি হয় তবে এ ক্ষেত্রে অদাহ্য ক্ষতিকারক পদার্থ গুলি জল ও স্থলকে দূষিত করতে পারে।
১১. রিসাইক্লিং কাকে বলে?
উত্তর - রিসাইক্লিং পদ্ধতিতে ই- বর্জ্যকে ছোট ছোট টুকরো করার পর মূল্যবান উপাদান বের করে নেওয়া হয়। যা পুনরায় নতুন ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি তে ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন পুরনো ব্যাটারি থেকে লিথিয়াম বের করে তা প্রক্রিয়াজাত করে পুনরায় নতুন ব্যাটারিতে ব্যবহার করা হয়।
১২. ই-কমার্স কি?
উত্তর - তথ্য প্রযুক্তি আইন ২০০০ যেখানে ভারতীয় আইন ইলেক্ট্রনিক বাণিজ্যের এবং ডেটা বিনিময়ের জন্য আইনের স্বীকৃতি প্রদান করে যাকে আমরা ই-কমার্স বলি।
১৩. ভারতে কবে তথ্যপ্রযুক্তি আইন প্রস্তাবিত ও পাস হয়েছিল ? এই আইনের মূল উদ্দেশ্য কি?
উত্তর - ভারতে ১৯৯৮ সালে ই-কমার্স এক্ট তৈরি হয়েছিল। পরবর্তীকালে তথ্য প্রযুক্তি আইন ২০০০বা IT Act ২০০০, ১৭ই অক্টোবর ২০০০ সালে ভারতীয় সংসদ দ্বারা প্রস্তাবিত ও পাস হয়েছিল।
১৪. ডিজিটাল স্বাক্ষর কি কাজে লাগে?
উত্তর - আইনি প্রমাণিকরণের প্রয়োজনে ডিজিটাল স্বাক্ষর কাজে লাগে।
১৫. প্রথম ট্রোজান ভাইরাসের নাম কি? এটি কে আবিষ্কার করেন?
উত্তর - প্রথম ট্রোজান ভাইরাসের নাম হলো অ্যানিম্যাল। এটি জন ওয়াকার 1974 সালে আবিষ্কার করেন।
১৬. ইনফরমেশন টেকনোলজি আইনের অধীনে যেকোনো দুই প্রকার অপরাধ ও তার শাস্তির বিধান লেখ।
উত্তর - ইনফরমেশন টেকনোলজি আইন 2000 এর অধীনে অপরাধ ও শাস্তি -
i) ধারা ৪৩ অনুযায়ী অপরাধ প্রমাণ হলে ক্ষতিকারক ব্যক্তি কম্পিউটার, সফটওয়্যার বা নেটওয়ার্ক ক্ষতির জন্য ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে জরিমানা বা ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে বাধ্য থাকবে।
ii) ধারা ৬৫ অনুযায়ী কোন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে কোন মূল নথিকে কম্পিউটার থেকে ধ্বংস, গোপন বা পরিবর্তন করে তবে তাকে 2 লক্ষ টাকা অর্থ দন্ড বা তিন বছরের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা যেতে পারে।
iii) ৬৬ বি ধারায় বলা হয়েছে কোন ব্যক্তি অসাধুভাবে বা জ্বালিয়েতি করে কোন গোপনীয় তথ্য প্রকাশ করে বা নিজের কাছে রাখে তাহলে তার এক লক্ষ টাকা জরিমানা অথবা তিন বছর কারাদণ্ড হতে পারে। ৬৬ সি ধারায় বলা হয়েছে কোন ব্যক্তি ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর, পাসওয়ার্ড জালিয়াতি করলে তারও এক লক্ষ টাকা জরিমানা বা তিন বছর কারণান্ত হতে পারে।
Edu হোস্টারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url