Class 8 History Chapter 5 wbbse Question Answer

Class 8 History Chapter 5 wbbse Question Answer | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায়  অনুশীলনী প্রশ্ন উত্তর | ঔপনিবেশিক শাসনের প্রতিক্রিয়া সহযোগিতা ও বিদ্রোহ class 8 | 


ভেবে দেখো        খুঁজে দেখো 

১) ক-স্তম্ভের সঙ্গে খ-স্তম্ভ মিলিয়ে লেখ :

ক-স্তম্ভ খ-স্তম্ভ
হিন্দু প্যাট্রিয়ট শেষ মুঘল সম্রাট
বাহাদুর শাহ জাফর সতীদাহ-বিরোধী আন্দোলন
রাজা রামমোহন রায় ব্রাহ্ম সমাজ
বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী সিধু ও কানহু
সাঁওতাল বিদ্রোহ নীল বিদ্রোহ

উত্তর -

ক-স্তম্ভ খ-স্তম্ভ
হিন্দু প্যাট্রিয়ট নীল বিদ্রোহ
বাহাদুর শাহ জাফর শেষ মুঘল সম্রাট
রাজা রামমোহন রায় সতীদাহ-বিরোধী আন্দোলন
বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ব্রাহ্ম সমাজ
সাঁওতাল বিদ্রোহ সিধু ও কানহু


২) বেমানান শব্দটি খুঁজে বার করো :

(ক) পন্ডিতা রামাবাঈ, বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন, ভাগিনী শুভ লক্ষ্মী, রানী লক্ষ্মীবাঈ।

উত্তর - বেমানান শব্দটি হল রানী লক্ষ্মীবাঈ।



(খ) আত্মারাম পান্ডুরং, মহাদেব গোবিন্দ রানাডে,জ্যাতিরাও ফুলে,বীরেশলিঙ্গম পান্তুলু।

উত্তর - বেমানান শব্দটি হল  জ্যাতিরাও ফুলে।



(গ) রামমোহন রায়, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, কেশবচন্দ্র সেন, দয়ানন্দ সরস্বতী।

উত্তর - বেমানান শব্দটি হল দয়ানন্দ সরস্বতী।



(ঘ) বাহাদুর শাহ জাফর, নানা সাহেব, তিতুমির, মঙ্গল পান্ডে।

উত্তর - বেমানান শব্দটি হল তিতুমির।



৩) অতি সংক্ষেপে উত্তর দাও (৩০-৪০ টি শব্দ):

(ক) উপনিবেশিক সমাজে কাদের " মধ্যবিত্ত ভদ্রলোক " বলা হতো ?

উত্তর - ঔপনিবেশিক শাসনকালে আর্থিক স্বচ্ছলতার ক্ষেত্রে যারা মাঝামাঝি স্তরে থাকেন, সাধারণভাবে তাদেরকে মধ্যবিত্ত বলা হয়। হিন্দু সম্প্রদায় ভুক্ত উচ্চবর্ণের ওই মধ্যবিত্তদের ব্রিটিশ ভারতে ভদ্রলোক বলা হতো। 



(খ)  নব্যবঙ্গ গোষ্ঠী কোন কোন প্রথার বিরোধিতা করেছিলেন ?

উত্তর - বিভিন্ন সামাজিক প্রথা ও রীতিনীতির বিরুদ্ধে নব্যবঙ্গ গোষ্ঠীর সদস্যরা মতামত প্রকাশ করেছিলেন। তারা জাতপাত, বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ প্রভৃতি প্রথার বিরোধিতা করেছিলেন। 



(গ) স্যর সৈয়দ আহমেদের সংস্কারগুলির প্রধান উদ্দেশ্য কি ছিল ?

উত্তর - মুসলমান সমাজ সংস্কারকদের মধ্যে স্যর সৈয়দ আহমেদ খান ছিলেন সব থেকে অগ্রগণ্য। তার সংস্কারগুলির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল -

১) মুসলমান সমাজে ইংরেজি শিক্ষার বিস্তার ঘটানো।

২) মুসলমানদের মধ্যে বিজ্ঞান চর্চার প্রসার ঘটানো

৩) আধুনিক যুক্তিবাদী মুসলমান সমাজ গড়ে তোলা

৪) বিভিন্ন পুরনো প্রথা, কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাস দূর করা।



(ঘ) তিতুমীর কাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন ?

উত্তর - তিতুমীরের নেতৃত্বেই নারকেলবেরিয়া অঞ্চলে ওয়াহাবি আন্দোলন শুরু হয়। তিতুমীর বিদ্রোহ করেছিলেন - স্থানীয় জমিদার, অত্যাচারী নীলকর সাহেব ও ব্রিটিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে।



৪) নিজের ভাষায় লেখো (১২০-১৬০ টি শব্দ) :

(ক) সতীদাহ-বিরোধী আন্দোলন ও বিধবা বিবাহের পক্ষে আন্দোলনের মধ্যে মূল মিলগুলি বিশ্লেষণ করো। বিদ্যাসাগর নারী শিক্ষার জন্য কিভাবে চেষ্টা করেছিলেন ?

উত্তর - রাজা রামমোহন রায় সতীদাহ বিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলেন। বিধবা বিবাহের  জন্য ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর আন্দোলন করেছিলেন। সতীদাহ বিরোধী আন্দোলন ও বিধবা বিবাহের আন্দোলনের মধ্যে মিলগুলি হল -

১) দুটি আন্দোলনই নারীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য পরিচালিত হয়েছিল। সতীদাহ বিরোধী আন্দোলন হল মৃত স্বামীর চিতায় যাতে স্ত্রীকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা না হয় তার জন্য আন্দোলন। আর বিধবা বিবাহ আন্দোলন হল যাতে অল্প বয়স্কা বিধবারা পুনরায় বিয়ে করতে পারে তার জন্য আন্দোলন। 

২) দুটি আন্দোলনই ছিল সফল আন্দোলন। এই দুটি আন্দোলনের ফলে ব্রিটিশ সরকার আইন প্রণয়ন করে সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধ এবং বিধবা বিবাহ আইনসম্মত বলে ঘোষণা করেছিল।

নারী শিক্ষার জন্য বিদ্যাসাগরের প্রচেষ্টা :-

নারীদের শিক্ষা বিস্তারের প্রতি বিদ্যাসাগর নজর দিয়েছিলেন। বেথুন স্কুলে যাতে মেয়েরা পড়তে যায় তার জন্য তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়েছিলেন। স্কুল পরিদর্শকের কাজ করার সময় নিজের খরচে অনেকগুলি মেয়েদের স্কুল তৈরি করেছিলেন বিদ্যাসাগর। বাংলার বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে থাকা সেই স্কুলগুলিতে অনেক মেয়েই পড়াশোনা করত।



(খ) ব্রাহ্ম আন্দোলনের মূল বক্তব্য কী ছিল ? ব্রাহ্ম আন্দোলনের সীমাবদ্ধতা গুলি বিশ্লেষণ করো।

উত্তর - ব্রাহ্ম আন্দোলনের মূল বক্তব্য ছিল - 
সমাজ সংস্কার :- ভারতীয় সমাজের মধ্যে নানান ধরনের কুসংস্কার প্রচলিত ছিল। ব্রাহ্ম আন্দোলনকারীরা হিন্দু সমাজে প্রচলিত সতিদাহ বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, কৌলিন্য প্রথা, সাগরে সন্তান বিসর্জন প্রভৃতি সামাজিক কুসংস্কারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন।

নারী সমাজের উন্নয়ন :- ব্রাহ্ম সমাজ সংস্কারকগণ নারীদের উন্নয়নের জন্য প্রচার করেছিলেন। তারা নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও নারী শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। 

ব্রাহ্ম আন্দোলনের সীমাবদ্ধতা :- ব্রাহ্ম সমাজের আন্দোলন মূলত শিক্ষিত মধ্যবিত্ত ও ধনীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। ভ্রাম্য আন্দোলনের সঙ্গে সাধারণ জনগণ ও গ্রামের মানুষের কোন সংযোগ ছিল না। এই আন্দোলন ছিল হিন্দু ধর্মশাস্ত্র নির্ভর। কিছু স্বার্থপর মানুষ ধর্মশাস্ত্রের অপব্যবহার করে সমাজে কু-প্রথার প্রচলন করেছে। তারা বিভিন্ন প্রথার নিষ্ঠুরতা ও অমানবিকতার দিকগুলি তুলে ধরার বদলে ওই প্রথা গুলি শস্ত্রসম্মত কিনা তাতে বেশি জোর দিয়েছিলেন।



(গ) সাঁওতাল হুল ও নীল বিদ্রোহের একটি তুলনামূলক আলোচনা করো। উভয় বিদ্রোহের ক্ষেত্রেই হিন্দু প্যাট্রিয়টের কি ভূমিকা ছিল ?

উত্তর - ১৮৫৫-৫৬ খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা জমিদার ও মহাজনদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল এবং ১৮৫৯-৬০ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় নীল চাষ ও নীলকরদের অত্যাচারকে কেন্দ্র করে নীল বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছিল। তবে এই দুটি বিদ্রোহের মধ্যে অনেক সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য ছিল। 

সাদৃশ্য :-

দুটি আন্দোলনই হয়েছিল ইউরোপীয় ও ভারতীয়দের শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে। ব্রিটিশ শাসক, নীলকর, জমিদার ও মহাজনদের শোষণের ফলে সাঁওতাল ও নীল চাষিরা বিদ্রোহী হয়েছিল।
সাঁওতাল হুলের অন্যতম কারণ ছিল - সাঁওতালদের রেলপথ নির্মাণের কাজ করার জন্য ইউরোপীয় কর্মচারীদের জুলুম ও অত্যাচার। আর নীল বিদ্রোহ হয়েছিল ইউরোপীয় নীলকরদের বাংলার চাষীদের দিয়ে জোর করে নীল চাষ করানোর জন্য। 


বৈসাদৃশ্য :- 

১) সাঁওতাল হুল বিদ্রোহ ছিল আদিবাসী উপজাতি বিদ্রোহ। আর নীল বিদ্রোহ ছিল কৃষক বা নীলচাষিদের বিদ্রোহ।

২) শিক্ষিত বাঙ্গালীদের অনেকেই সাঁওতাল হুল বিদ্রোহের বিরোধিতা করেছিল। অন্যদিকে, শিক্ষিত বাঙ্গালীদের অনেকেই নীল বিদ্রোহকে সমর্থন করেছিল।

৩) সকাল হুল বিদ্রোহ হিংসাত্মক ছিল। বহু প্রাণহানি ঘটে। অপরদিকে, নীল বিদ্রোহ অহিংস ছিল। 


সাঁওতাল হুল বিদ্রোহ ও হিন্দু প্যাট্রিয়ট :-
হিন্দু পেট্রিয়ট পত্রিকার সম্পাদক হরিশচন্দ্র হুল বিদ্রোহকে সমর্থন জানিয়ে লিখেছিলেন, শান্ত ও সৎ সাঁওতাল জাতির বিদ্রোহ করার পিছনে অনেক কারণ রয়েছে। তাদের জোর করে বেগার খাটানো হত। তাছাড়া অতিরিক্ত খাজনা দিতে তাদের বাধ্য করা হত। যারা শান্তিপ্রিয় সাঁওতালদের উপর অত্যাচার করে তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। সাঁওতালরা শুধু নিজেদের জঙ্গল ও উপত্যকার মধ্যে স্বাধীনভাবে জীবনযাপনের অধিকার চায়।


নীল বিদ্রোহ ও হিন্দু প্যাট্রিয়ট :-
নীল বিদ্রোহের প্রতি হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার সম্পাদক হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় সহমর্মী অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। সাঁওতাল বিদ্রোহের মত নীল বিদ্রোহ সম্পর্কেও তার বক্তব্য ছিল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। নীল বিদ্রোহ সম্পর্কে তিনি লেখেন, বাংলায় নীল চাষ একটি সংগঠিত জুয়াচুরি ও নিপীড়ন ব্যবস্থা মাত্র। নীল চাষে চাষির লাভ এর থেকে ক্ষতি বেশি। দেশবাসী একবার নীল চাষ করেছে, তার আর বেঁচে থাকতে মুক্তি পাওয়ার উপায় নেই। নীল কর কোন চাষীকেই ন্যায্য দাম দেয় না।



(ঘ) তুমি কি মনে করো ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ কেবল "সিপাহী বিদ্রোহ" ছিল ? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।

উত্তর - ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের প্রকৃতি বা চরিত্র নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে বিতর্ক ও মত বৈষম্য রয়েছে। এক পক্ষের মতে, এটি সিপাহী বিদ্রোহ। অপরপক্ষ বলেন, এটি সমগ্র ভারতবাসীর আন্দোলন বা জাতীয় আন্দোলন। এছাড়া অনেকেই বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতার সংগ্রাম, কৃষক বিদ্রোহ, সামন্ততান্ত্রিক প্রতিবাদ বলেছেন। 

সিপাহী বিদ্রোহ :- ইংরেজ ঐতিহাসিক রেইকস, হোমস্ এবং ভারতীয় ঐতিহাসিক কিশোরী চাঁদ মিত্র, স্যার সৈয়দ আহমদ খান। দুর্গা দাস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমূখ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে সিপাহী বিদ্রোহ বলেই মনে করেন। এই বক্তব্যের পিছনে তাদের যুক্তি হল, বাহিরা এই বিদ্রোহ করেছিল। এই বিদ্রোহকে মধ্যবিত্ত শ্রেণী সমর্থন করেনি। সুতরাং এটি নিছক সিপাহী বিদ্রোহ ছাড়া অন্য কিছুই নয়। 

জাতীয় আন্দোলন :- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে অনেকে জাতীয় আন্দোলন বলে অভিহিত করেছেন। কারণ-ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের জনগণ এতে যোগদান করেছিল। বিদ্রোহীরা দিল্লিতে বাহাদুর শাহ জাফরকে ভারতের সম্রাট বলে ঘোষণা করে। তাই একে জাতীয় বিদ্রোহ বলাই যুক্তিযুক্ত। 

ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম :- স্বাধীনতা সংগ্রামী বিনয়ক দামোদর সাভারকর ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ বলে অভিহিত করেছেন। 

সামন্ততান্ত্রিক প্রতিবাদ :- অনেকেই বিদ্রোহকে সম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সামন্ততন্ত্রের প্রতিবাদ হিসেবে দেখেছেন। 

১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের প্রকৃতি নিয়ে বিতর্ক থাকলেও বিদ্রোহীদের মধ্যে দেশপ্রেমের কোন অভাব ছিল না এবং এই আন্দোলনে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগদান করেছিল। 


-: রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর :-


১) সমাজসংস্কার ধর্মসংস্কার নারী কল্যাণে রাজা রামমোহন রায়ের ভূমিকা আলোচনা করো ?

উত্তর - সমাজ সংস্কার-ধর্মসংস্কার-নারী কল্যাণে রাজা রামমোহন রায়ের ভূমিকা -

ক) বাংলা তথা ভারতের সমাজ সংস্কার আন্দোলনে রাজা রামমোহন রায়ের চিরস্মরণীয় পদক্ষেপ ছিল সতীদাহ প্রথার অবসান। মৃত স্বামীর চিতায় বিধবার সহমরণকে সতীদাহ প্রথা বলা হত। প্রাচীন কাল থেকে এই প্রথার চলছিল। ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে  রামমোহন রায় এই প্রথার বিরুদ্ধে প্রবল জনমত গড়ে তোলেন। শেষ পর্যন্ত গভর্নর জেনারেল লর্ড উইলিয়াম বেন্টিং ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে এই নিষ্ঠুর প্রথা নিষিদ্ধ করেন। 

খ) বহুবিবাহ ও বর্ণভেদ প্রথার বিরুদ্ধেও রামমোহন রায় তীব্র আন্দোলন চালিয়ে যান।

গ) নারী পুরুষের সমান অধিকার, সর্বোপরি নারীরা যাতে স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারে তার জন্য বিষয় সম্পত্তিতে নারীদের উত্তরাধিকারের দাবি প্রতিষ্ঠিত করার ব্যাপারেও রামমোহনের চেষ্টা ত্রুটি ছিল না। 

ঘ) রামমোহন ছিলেন ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতা।



২) নারী শিক্ষা প্রসারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান লেখো ?

উত্তর - বিদ্যাসাগর দেখেছিলেন বাংলার সমাজে নারীরা পুরুষদের তুলনায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে। সামাজিক বিভিন্ন কুসংস্কার এবং অত্যাচারে নারীরা জর্জরিত। একমাত্র শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমেই নারী সমাজের মুক্তি সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।

১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দে বেথুন কলকাতায় হিন্দু বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এই কাজে বিদ্যাসাগর বেথুন সাহেবকে সহযোগিতা করেন। ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দে বিদ্যাসাগর এই স্কুলের সম্পাদক হন। অভিভাবকেরা বেথুন সাহেবের স্কুলে যাতে মেয়েদের পড়তে পাঠায় তার জন্য তিনি প্রচার করেন। তার প্রচারের ফলে অনেক অভিজাত বাড়ির মেয়েরা বেথুন স্কুলে পড়তে আসে। তার উদ্যোগে বাংলার বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলে ৩৫টি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। এই বিদ্যালয়গুলিতে তখন ১৩০০ লেখাপড়া করত। গ্রামাঞ্চলে বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে তিনি কুসংস্কার মুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। ঈশ্বরচন্দ্র লর্ড হার্ডিঞ্জের সহযোগিতায় অনেক বাংলা স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। এই সময়ে তিনি ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় তৈরি করেন মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশন। যার পরবর্তীকালে নাম হয় বিদ্যাসাগর কলেজ। নারী শিক্ষার বিস্তারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান বিশেষভাবে স্মরণীয়। তাকে নারী শিক্ষা বিস্তারের পথিকৃৎ বলা হয়।



৩) সমাজ সংস্কার আন্দোলনে হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর ভূমিকা লেখো ?

উত্তর - ইয়ং বেঙ্গল আন্দোলনের প্রাণপুরুষ ছিলেন হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও। মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিনি হিন্দু কলেজের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ডিরোজিওর অনুগামীরা ইয়ং বেঙ্গল নামে পরিচিত। প্যারীচাঁদ মিত্র, রাধানাথ শিকদার, রামতনু লাহিড়ী, দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায়, কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমূখ ইয়াং বেঙ্গল এর উল্লেখযোগ্য সদস্য ছিলেন। ডিরোজিও ভারতীয় ভারতীয় সমাজ ও ধর্মের কুসংস্কার গুলি দূর করার চেষ্টা করেন। তার ছাত্ররাও তার সঙ্গে এই কাজে যোগ দেন। তিনি হিন্দু সমাজের কুসংস্কার জাতিভেদ প্রথা, অস্পৃশ্যতা, সতীদাহ প্রথার বিরোধিতা করেন। স্বাধীন চিন্তা ও যুক্তিবাদের প্রসার ঘটানোর জন্য ডিরোজিও প্রতিষ্ঠা করেন একাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন। এখানে ঈশ্বরের অস্তিত্ব, পোরোহিততন্ত্র, সামাজিক কুসংস্কার প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা ও বিতর্ক চলত | তারা নারীমুক্তির জন্য নারী শিক্ষা বিস্তারের। পক্ষপাতী ছিলেন




৪) দামিন-ই-কোহ কী ?

ত্তর - দামিন-ই-কোহ কথার অর্থ হল পাহাড়ের প্রান্তদেশ। সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে নিজেদের এলাকা ছেড়ে রাজমহল পাহাড়ে প্রান্ত দেশে বসবাস শুরু করেছিল। তারা বহু পরিশ্রমের দ্বারা এখানকার জঙ্গল পরিষ্কার করে জমিকে চাষযোগ্য ও বসবাসযোগ্য করে তুলেছিল। সাঁওতালদের এই নতুন অঞ্চলকে দামিন ই কোহ বলা হয়।



৫) সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো ?

উত্তর - ইংরেজ কোম্পানির শাসন নীতির বিরুদ্ধে ভারতের যেসব উপজাতি বিদ্রোহ ঘটে সাঁওতাল বিদ্রোহ ছিল তার মধ্যে অন্যতম। 
সাঁওতালরা ছিল অত্যন্ত সরল ও কর্মঠ প্রকৃতির এবং বিহার সীমান্তের জঙ্গলময় পার্বত্য অঞ্চলের আদিবাসী। চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু হলে তারা পুরনো ঘরবাড়ি ছেড়ে রাজমহলের পার্বত্য অঞ্চল ও মুর্শিদাবাদ স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকে। নানাবিদ অসন্তোষ কে কেন্দ্র করে এই অঞ্চলের নিরীহ সাওতলা বিদ্রোহ ঘোষণা করে, যেমন -

ক) ভূমি রাজস্বের অত্যধিক হার, 

খ) মহাজনদের শোষণ, 

গ) মহাজন ও ব্যবসায়ীদের অসততা, 

ঘ) রেল কর্মচারীদের অত্যাচার, 

ঙ) নীলকরদের জুলুম প্রভৃতি।


-: ফলাফল :-

ক) সাঁওতাল বিদ্রোহের অবসান হলে বিহারের সাঁওতাল অদর্শিত অঞ্চল নিয়ে পৃথক সাঁওতাল পরগনা গঠন করা হয়। 

খ) এই অঞ্চলে সাঁওতালদের প্রচলিত নিজস্ব আইন চালু করা হয়।

গ) ছাত্রদের পৃথক উপজাতি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। 

ঘ) সাঁওতাল বিদ্রোহ কেবল সাঁওতালদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। প্রকৃতিগতভাবে এই বিদ্রোহ মূলত কৃষক বিদ্রোহ ছিল। এছাড়াও স্থানীয় মুসলিম তাঁতি, তেলি, কামার, ডোম, চামার প্রভৃতি সম্প্রদায় ও পেশার মানুষ এবং নিম্নবর্গের দরিদ্র হিন্দুরাও এই বিদ্রোহে যোগ দেয়। 

এই বিদ্রোহ শুধুমাত্র জমিদার, রাজকর্মচারী ও মহাজন্দের বিরোধী ছিল না। এই বিদ্রোহ ছিল ইংরেজ বিরোধী।



৬) মহাবিদ্রোহের সামরিক কারণ বিশ্লেষণ করো ?

উত্তর - ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের সূত্রপাত হওয়ার ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর অসন্তোষ ছিল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ। সামরিক ক্ষেত্রে বৈষম্য মূলক আচরণ করার ফলে ভারতীয় সিপাহীরা ক্রমে অসন্তুষ্ট হয়ে উঠেছিল, কারণ :-

ক) উচ্চ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বৈষম্য।

খ) বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধার ক্ষেত্রে বৈষম্য।

গ) পদোন্নতির ক্ষেত্রে বৈষম্য।

ঘ) ভারতীয় সিপাহীদের প্রতি ইংরেজ অফিসারদের অপমানজনক ব্যবহার। 

ঙ) যুদ্ধক্ষেত্রের সেনা মোতায়ন, খাদ্য ও বাসস্থানের ক্ষেত্রে বৈষম্য।



৭) মহাবিদ্রোহের ব্যর্থতার কারণ উল্লেখ করো ?

উত্তর - ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের ব্যর্থতার মূলে একাধিক কারণ ছিল, যেমন :-
ক) পরিকল্পনার অভাব।

খ) বিদ্রোহের সীমাবদ্ধতা।

গ) বিভিন্ন জাতি ও দেশীয় রাজাদের বিরোধিতা।

ঘ) অযোগ্য নেতৃত্ব।

ঙ) আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রের অভাব, 

এছাড়াও, যোগাযোগ ব্যবস্থার দুর্বলতা, সাধারণ মানুষ ও শিক্ষিত সম্প্রদায়ের উপেক্ষা প্রভৃতি কারণে ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহ ব্যর্থ হয়। 



৮) সমাজ-সংস্কারের ক্ষেত্রে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান আলোচনা করো ?

উত্তর - বাংলায় সমাজ-সংস্কার ও শিক্ষা প্রসারের ক্ষেত্রে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদানগুলি ছিল -

i) উনবিংশ শতকের এক বিরাট পণ্ডিত ও সমাজ সংস্কারক ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। সারা জীবন ধরে তিনি শিক্ষা বিস্তার ও সমাজ সংস্কারে নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। 

ii) বিদ্যাসাগর নারী মুক্তি আন্দোলনের প্রবল সমর্থক ছিলেন। বাংলার নারী মুক্তির ইতিহাসে তিনি ছিলেন এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। 

iii) বহুবিবাহ ও বাল্যবিবাহ নিবর্তন এবং বিধবা বিবাহ প্রবর্তনের জন্য বিদ্যাসাগর আন্দোলনে নামেন এবং বিভিন্ন সামাজিক কুপার বিরুদ্ধে প্রবল জনমত গড়ে তোলেন। অবশেষে ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে বিধবা বিবাহ আইনসিদ্ধ হয়।



৯) টীকা লেখ : ইয়ং বেঙ্গল বা নব্যবঙ্গ।

উত্তর - পাশ্চাত্যের যুক্তিবাদী ভাবধারায় উদ্ভূত হয়ে বাংলার তরুণ বুদ্ধিজীবীদের একাংশ যে উগ্র সংস্কারপন্থী আন্দোলন সৃষ্টি করেন তা ইয়ং বেঙ্গল বা নব্যবঙ্গ নামে পরিচিত। ইয়ং বেঙ্গল আন্দোলনের প্রাণদাতা ও প্রাণপুরুষ ছিলেন হিন্দু কলেজের অধ্যাপক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও। 


নব্যবঙ্গ দলের মূল উদ্দেশ্য :- নব্যবঙ্গ দলের মূল উদ্দেশ্য ছিল -

(i) জনসাধারণের মধ্যে যুক্তিবাদ প্রতিষ্ঠা।

(ii) হিন্দু সমাজে প্রচলিত ধর্মীয় ও সামাজিক গোড়ামী ও কুসংস্কারের বিরোধিতা করা। 

(iii) আধুনিক ও যুক্তিবাদী পাশ্চাত্য চিন্তাধারা ও শিক্ষার বিস্তার ঘটানো। 


ডিরোজিওর ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ ছাত্ররা বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, সভা সমিতি ও প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে প্রগতিশীল ধ্যান-ধারণা প্রচার করতে লাগলেন। ডিরোজিওর ছাত্রদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন প্যারিচাঁদ মিত্র, রামতনু লাহিড়ী, দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায়, কৃষ্ণমোহন বন্দোপাধ্যায় প্রমূখ। ইয়ং বেঙ্গলের সদস্যরা তাদের পত্রিকাগুলোর মাধ্যমে হিন্দু সমাজের বহুবিবাহ, নারী শিক্ষা, জুরির বিচার, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে লেখা-লেখি শুরু করেন ও তাদের সুচিন্তিত মতবাদ প্রদান করেন। 


নানান সমালোচনার সত্ত্বেও ইয়ং বেঙ্গল অনুগামীদের সত্যানুসন্ধানী মনোভাব, দেশাত্মবোধ ও সংস্কৃতি চেতনা ঊনিশ শতকে বাংলার নবজাগরণ কে সমৃদ্ধ করেছিল।



-: অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর (MCQ) :- 


১) ব্রিটিশ আমলে হিন্দু সম্প্রদায় ভুক্ত উচ্চবর্ণের মধ্যবিত্তদের কি বলা হত ?

উত্তর - ভদ্রলোক। 



২) সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধ করনে উদ্যোগ নিয়েছিলেন কে ?

উত্তর - রাজা রামমোহন রায়। 



৩) সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধ হয় কত খ্রিস্টাব্দে ?

উত্তর - ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে। 



৪) বেঙ্গল গেজেট পত্রিকাটি প্রকাশ করেন কে ?

উত্তর - জেমস অগাস্টাস হিকি।



৫) কত খ্রিস্টাব্দে হিন্দু বিধবা পুনর্বিবাহ আইন জারি করা হয় ?

উত্তর - ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে। 



৬) ডিরোজিও কে ছিলেন ?

উত্তর - হিন্দু কলেজের শিক্ষক। 



৭) প্রার্থনা সমাজের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন ?

উত্তর - আত্মারাম পান্ডুরং।



৮) আত্মীয় সভা প্রতিষ্ঠা করেন -

উত্তর - রামমোহন রায়।



৯) বেদকে সমস্ত ধর্মগ্রন্থের মধ্যে চূড়ান্ত বলে মনে করতেন - 

উত্তর - দয়ানন্দ সরস্বতী। 



১০) জাতীয় মেলার পরবর্তীকালে নাম হয় -

উত্তর - হিন্দু মেলা। 



১১) হুল শব্দের অর্থ হলো -

উত্তর - বিদ্রোহ।



১২) সাঁওতাল বিদ্রোহের নেতা ছিলেন -

উত্তর - সিধু ও কানু।



১৩) বাঁশের কেল্লা নির্মাণ করেন -

উত্তর - তিতুমীর। 



১৪) মুন্ডা বিদ্রোহের নেতা ছিলেন -

উত্তর - বিরসা মুন্ডা। 



১৫) নীল বিদ্রোহের দুজন নেতার নাম লেখ ?

উত্তর - বিষ্ণুচরণ বিশ্বাস ও দিগম্বর বিশ্বাস।



১৬) সিপাহী বিদ্রোহ হয় -

উত্তর - ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে। 



১৭) সিপাহীরা কাকে হিন্দুস্তানের সম্রাট বলে ঘোষণা করেছিলেন ?

উত্তর - বাহাদুর শাহ জাফর কে। 



১৮) সাগরে কন্যা শিশু ভাসিয়ে দেওয়ার প্রথা নিষিদ্ধ করেছিলেন -

উত্তর - ১৮০৩ খ্রিস্টাব্দে লর্ড ওয়েলেসলি। 



১৯) আলীগড় অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজ কে প্রতিষ্ঠা করেন ?

উত্তর - স্যার সৈয়দ আহমদ। 



২০) শয়তানরা তাদের এলাকায় বহিরাগত মহাজন ও জমিদারদের কী বলতো ?

উত্তর - দিকু।



২১) হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন ?

উত্তর - হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। 



২২) মোপলা বিদ্রোহ হয়েছিল -

উত্তর - দক্ষিণ ভারতের মালাবার অঞ্চলে।



২৩) কার নেতৃত্বে ফরাজি আন্দোলন গড়ে ওঠে ?

উত্তর - হাজী শরীয়তউল্লাহ।



২৪) কার নেতৃত্বে ওয়াহাবি আন্দোলন গড়ে ওঠে ?

উত্তর - আব্দুল ওয়াহাব এর নেতৃত্বে, আরবে। 



২৫) তিতুমীরের আসল নাম কি ?

উত্তর - মীর নিশার আলী। 



২৬) ফরাজি কথার অর্থ কি ?

উত্তর - ইসলাম নির্দিষ্ট বাধ্যতামূলক কর্তব্য।
 


২৭) নীলদর্পণ নাটকটি কে রচনা করেন ?

উত্তর - দীনবন্ধু মিত্র। 



২৮) ভারতের প্রথম ভাইসরয় কে ছিলেন ?

উত্তর - লর্ড ক্যানিং।



২৯) মহাবিদ্রোহের প্রথম শহীদ কে ?

উত্তর - মঙ্গল পান্ডে। 



৩০) ডিরোজিওর ছাত্রদের কি বলা হত ?

উত্তর - ইয়ং বেঙ্গল বা নব্যবঙ্গ।



৩১) লোকহিতবাদী নামে কে পরিচিত ছিলেন ?

উত্তর - গোপালহরি দেশমুখ।



৩২) কি আর্য সমাজ এর প্রতিষ্ঠা করেন ?

উত্তর - দয়ানন্দ সরস্বতী।




৩৩) কে জাতীয় মেলা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ?

উত্তর - নবগোপাল মিত্র। 



৩৪) বাঁশেরকেল্লা কে এবং কোথায়  তৈরী করেন ? 

উত্তর - তিতুমীর উত্তর ২৪ পরগনার নারকেলবেড়িয়ায় বাঁশেরকেল্লা  তৈরী করেন।



৩৫) কে প্রথম সিপাহী বিদ্রোহের ঘোষণা করে ? 

উত্তর - মঙ্গোল পাণ্ডে |



৩৬) "ওয়াহাবি" কথাটির অর্থ  কি ? 

উত্তর - নবজাগরণ |




৩৭) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য কে ছিলেন ?

উত্তর - স্যার জেমস উইলিয়াম কোলভিল। 



৩৮) কলকাতা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় কত সালে ?

উত্তর - ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে। 




৩৯) "আধুনিক ভারতের জনক" বলা হয় কাকে ?

উত্তর - রাজা রামমোহন রায় কে। 



৪০) শিকাগো বিশ্ব-ধর্ম সম্মেলনে কোন ভারতীয় অংশ নেন ?

উত্তর - স্বামী বিবেকানন্দ। 



৪১) স্বামী বিবেকানন্দ রচিত গ্রন্থের নাম কি ?

উত্তর - বর্তমান ভারত, পরিব্রাজক।



৪২) ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় কত খ্রিস্টাব্দে ?

উত্তর - ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে। 



৪৩) বিধবা বিবাহের আন্দোলনে কে অগ্রণী হন ?

উত্তর - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। 



৪৪) রামকৃষ্ণ মিশন কত খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় ?

উত্তর - ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে। 



৪৫) "বন্দেমাতরম" সংগীত কে রচনা করেন ?

উত্তর - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।




-: আরো পড়ুন :- 


অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস অধ্যায় - ১ প্রশ্ন উত্তর


অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস অধ্যায় - ২ প্রশ্ন উত্তর 


অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস অধ্যায় - ৩ প্রশ্ন উত্তর


অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস অধ্যায় - ৪  প্রশ্ন উত্তর 





শেষ কথা ঃ- 

এই পোস্টে Class 8 History Chapter 5 থেকে প্রশ্ন উত্তর আলচনা করা হলো। পরে আরও গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় আসার মতো প্রশ্ন উত্তর আপডেট দেওয়া হবে। আশা করি, উক্ত প্রশ্ন উত্তর গুলি  ছাত্রছাত্রীদের অনেক কাজে আসবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Edu হোস্টারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url